বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত

বৃহস্পতিবার কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে ‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস’ পালিত হয়েছে। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
বৃহস্পতিবার কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে ‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস’ পালিত হয়েছে। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ১৮ এপ্রিল কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে কর্মরত উপহাইকমিশনার হোসেন আলী দূতাবাসে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের পতাকা তুলেছিলেন। সঙ্গী ছিলেন এই দূতাবাসের ৭০ জন বাঙালি কর্মকর্তা ও কর্মী। সেদিন একই সঙ্গে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করে পাকিস্তান সরকারের ২২ বছরের চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন হোসেন আলী। প্রয়াত এই হোসেন আলী ছিলেন পাকিস্তান মিশনের প্রথম ব্যক্তি, যিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে কলকাতা দূতাবাসে তুলেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।

সেই দিনটিকে স্মরণ করে বৃহস্পতিবার কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে ‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস’ পালিত হয়েছে। সকালে এই উপহাইকমিশনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বর্তমান উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান। এ সময় পরিবেশিত হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।

উপহাইকমিশনের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে চারদিক প্রদক্ষিণ করেন। পতাকার চার কোনা ধরেন চার উইং প্রধান কাউন্সেলর (কনস্যুলার) মনসুর আহমেদ, প্রথম সচিব (প্রেস) মো. মোফাকখারুল ইকবাল, প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) শেখ সফিউল ইমাম। মাঝে ছিলেন উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান, কাউন্সেলর মিয়া মো. মাইনুল কবির, কাউন্সেলর ও এইচওসি বিএম জামাল হোসেন, কাউন্সেলর শাহানাজ আখতার রানু এবং মৌসুমি ওয়াইজ প্রমুখ। এই পতাকা নিয়ে উপহাইকমিশনের চারপাশ ঘুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান।

পতাকা উত্তোলনের পর তৌফিক হাসান বলেন, সেদিন এই দূতাবাসই প্রথম পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিল। গতকাল (বুধবার) ছিল সেই ঐতিহাসিক দিনটি। আমরা ওই দিনের স্মরণে আজ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পেরে গর্বিত।