বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাত বরদাশত করব না: মমতা

গতকালের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি।
গতকালের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘যাঁরা বিজেপিতে যেতে চান, তাঁরা এক্ষুনি চলে যান। দরকার হলে আমি এবার থেকে একাই লড়ব। এখন যাঁরা দলের মধ্যে থেকে বিজেপিকে সাহায্য করছেন, তাঁদের খুঁজে বের করে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।’ বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রামের নেতাদের সঙ্গে গতকাল শুক্রবার কলকাতার তৃণমূল ভবনে এক বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা এ কথা বলেন।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস খারাপ ফল করার পর থেকে দুশ্চিন্তায় আছেন মমতা। তৃণমূলে চলছে ভাঙনের খেলা। ইতিমধ্যে তৃণমূলের হাত থেকে বিজেপির হাতে চলে গেছে রাজ্যের ৬টি পৌরসভা। চলে গেছেন বেশ কয়েকজন সাংসদ, বিধায়ক ও নেতা।

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের নির্বাচনী কৌশলে যে বেশ কিছু ভুলভ্রান্তি ছিল, তা এখন উপলব্ধি করতে পারছেন দলনেত্রী মমতা। তিনি বুঝতে পারছেন, তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। তাই দলকে পুনর্গঠিত করতে মমতা এবার নিজেই মাঠে নেমেছেন। প্রায় প্রতিদিনই বৈঠক করছেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার নেতাদের সঙ্গে। শুরু করেছেন দলের শুদ্ধি অভিযান। তিনি বলেছেন, ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজদের আর ঠাঁই হবে না দলে।

মমতা চাইছেন, দলে ঢোকা সুবিধাবাদীদের বের করে দিতে। তাই তিনি দলের অন্তর্ঘাত নিয়ে সরব হয়ে নতুন বার্তা দিতে শুরু করেছেন। গতকালের বৈঠকে তুলে ধরেন দলকে পুনর্গঠিত করার নানা পরিকল্পনার কথা।

মমতা বলেন, বিজেপি এখন ৬ হাজার টাকা মাসিক বেতনে বেকার ছেলেদের নিয়োগ করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারে নামিয়েছে। এতে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘ভয়টা কাকে পাচ্ছ? তোমরা কি লড়াই করতে ভুলে গেছ? মনে রাখবে, ২০২১ সালে আমরাই ফিরে আসব।’

মমতা বলেন, ‘প্রত্যেক নেতা-কর্মী মানুষের বাড়িতে বাড়িতে যান। তাদের অভাব–অভিযোগের কথা শুনুন। তাদের পাশে থাকুন। তাদের বাড়ির জল খান। দেখে আসুন মানুষ সরকারি পরিষেবা ঠিকঠাক পাচ্ছে কি না।’ তিনি বলেছেন, ‘এখন থেকে প্রশাসনের ওপর নির্ভর করবেন না। নেতাদের আচরণ বদলাতে হবে। নেতাদের জনসংযোগে আরও জোর দিতে হবে। বিধায়কদের মানুষের কাছে যেতে হবে। দলকে চাঙা করতে হবে।’