বিধানসভা উপনির্বাচনে মমতার মনোনয়নপত্র বাতিলের আবেদন বিজেপির

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুর আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে অংশ নিচ্ছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিয়েছেন হলফনামা। তবে এই হলফনামায় অসংগতি রয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। গতকাল মঙ্গলবার এর জের ধরে মমতার প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেছে দলটি।

ভারতের আইন অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশ নিতে একজন প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা দাখিল করতে হয়। সেখানে প্রার্থীর যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব দিতে হয়। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা আদালতে আছে কি না, তাও জানাতে হয়।

এই হলফনামায় মমতা ফৌজদারি মামলার তথ্য গোপন করেছেন উল্লেখ করে গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিলের আবেদন করেন সজল ঘোষাল। তিনি ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াংকা টিবরেওয়ালের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। সজল ঘোষাল বলেন, মমতার বিরুদ্ধে আসামেই পাঁচটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। হলফনামায় ওই মামলাগুলোর কথা এড়িয়ে গেছেন তিনি।

মমতার বিরুদ্ধে বিজেপির এমন অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। এর আগে গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসনে প্রার্থিতা দাখিলের সময়ও একই অভিযোগ তুলেছিলেন ওই আসনের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। সেবারও হলফনামায় মমতা তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলার কথা উল্লেখ করেননি বলে অভিযোগ আনা হয়।

৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভবানীপুর উপনির্বাচন। ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৩ অক্টোবর। পশ্চিমবঙ্গে পাঁচটি বিধানসভার উপনির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন শুধু ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয়।

গত বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসনে লড়েন। সে সময় তিনি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১ হাজার ৯৫৬ ভোটে পরাজিত হন। তবে বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে জয় পায় তৃণমূল কংগ্রেস। ভারতের সংবিধান মেনে মমতাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসায় দলটি।

এদিকে সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী, বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর থেকে ছয় মাসের মধ্যে মমতাকে রাজ্যের যেকোনো একটি আসন থেকে জিতে আসতে হবে। এ লক্ষ্যে এই ভবানীপুর আসনের তৃণমূল থেকে জয়ী বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি পদত্যাগ করেন। এ কারণে আসনটি শূন্য হয়। এখান থেকেই উপনির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন মমতা।