বুথফেরত জরিপে মমতার জয়ের আভাস

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সেই বুথফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এবার তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে পারেন মমতা। জিততে পারে মমতার তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বহু আসনেই হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।

সর্বশেষ চারটি বুথফেরত সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। এর মধ্যে এবিপি-আনন্দ এবং সি-ভোটার তাদের সমীক্ষায় তৃণমূলের জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে টাইমস নাউও।
আর বিজেপির জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে সিএনএক্স ও রিপাবলিক টিভি এবং জন কি বাত সমীক্ষা সংস্থা।

সি-ভোটার বলেছে, বিধানসভার ২৯৪ আসনের মধ্যে তৃণমূল পেতে পারে ১৫২ থেকে ১৬৪ আসন। বিজেপি পেতে পারে ১০৯ থেকে ১২১ আসন। আর কংগ্রেস-বাম দল-আইএসএফ জোট পেতে পারে ১৪ থেকে ২৫টি আসন। টাইমস নাউ বলেছে, তৃণমূল পাবে ১৫৮টি আসন। বিজেপি পাবে ১১৫টি আসন আর কংগ্রেস-বাম-আইএসএফ জোট পেতে পারে ১৯টি আসন।

অন্যদিকে সিএনএক্স ও রিপাবলিক বাংলা টিভি তাদের বুথফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত দিয়েছে, বিজেপি জিততে পারে ১৩৮ থেকে ১৪৮টি আসন। তৃণমূল পেতে পারে ১২৮ থেকে ১৩৮টি আসন। আর কংগ্রেস-বাম-আইএসএফ জোট পেতে পারে ১১ থেকে ২১টি আসন।

আরও পড়ুন

আবার জন কি বাত তাদের সমীক্ষা রিপোর্ট বলেছে, বিজেপি পেতে পারে ১৬২ থেকে ১৮৫টি আসন। তৃণমূল পেতে পারে ১০৪ থেকে ১২১টি আসন। আর কংগ্রেস-বাম-আইএসএফ জোট পেতে পারে ৩ থেকে ৯টি আসন।

তবে এসব সমীক্ষায় এটা স্পষ্ট হয়েছে যে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির। হেরে যেতে পারেন রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, বিধায়ক ও নেতা। আবার জিতেও যেতে পারেন বিজেপির বেশ কজন নামী প্রার্থীও। তবে যা–ই হোক না কেন, এ সমীক্ষা রিপোর্টকে এখন ততটা আমলে নেয় না অনেক দলই।

কেননা, ২০১৯ সালে সর্বশেষ এ রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণের পর বুথফেরত সমীক্ষায় কেউ এমন আভাস দেয়নি যে মমতার এত বড় পরাজয় হবে।

তখন বুথফেরত সমীক্ষায় আভাস দেওয়া হয়েছিল বিজেপি বড়জোর ১০টি আসনে জিততে পারে। যদিও মমতা প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিলেন তাঁদের দল রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের ৪২টিতেই জিতবে। কিন্তু প্রকৃত ফলাফলে দেখা যায় বিজেপি জিতেছিল ১৮টি আসনে। কংগ্রেস ২টি আসনে। আর তৃণমূল জিতেছিল ২২টি আসনে। বাম দল কোনো আসন পায়নি। তাই এবারও এই বুথফেরত সমীক্ষাকে অনেক রাজনৈতিক দল ততটা গুরুত্ব দিচ্ছে না।