ভারতে করোনা শনাক্তের হার কমে ৩.২২%

ভারতে সংক্রমণ ‘বিস্ফোরণের’ জন্য করোনার ভারতীয় ধরনকে (ডেলটা) অনেকাংশে দায়ী করা হয়
ছবি: এএফপি

ভারতে টানা নয় দিন ধরে ৫ শতাংশের নিচে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ২২ শতাংশ। আজ বুধবার এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৬২ হাজার ২২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময় মারা গেছেন ২ হাজার ৫৪২ জন।

সবশেষ এ তথ্য নিয়ে ভারতে করোনায় সংক্রমিত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯৬ লাখ ৩৩ হাজার ১০৫। মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৫৭৩।

দেশটিতে আগের ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার) শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। রোববার এই হার ছিল ৪ দশমিক ৭১ শতাংশ।

ভারতে সোমবার ৬০ হাজার ৪৭১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। মারা যান ২ হাজার ৭২৬ জন। রোববার শনাক্ত হয় ৭০ হাজার ৪২১ জন। মারা যান ৩ হাজার ৯২১ জন। শনিবার শনাক্ত হয় ৮০ হাজার ৮৩৪ জন। মারা যান ৩ হাজার ৩০৩ জন। শুক্রবার শনাক্ত হয় ৮৪ হাজার ৩৩২ জন। মারা যান ৪ হাজার ২ জন। বৃহস্পতিবার ৯১ হাজার ৭০২ জন শনাক্ত হয়। মারা যান ৩ হাজার ৪০৩ জন। গত বুধবার শনাক্ত হয় ৯৪ হাজার ৫২ জন। মারা যান ৬ হাজার ১৪৮ জন।

গত মার্চের মাঝামাঝিতে ভারতে এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের কাছাকাছি। তারপর দেশটিতে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়তে থাকে। গত ৭ মে ভারতে এক দিনে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ১৪ হাজারের বেশি রোগী শনাক্তের তথ্য জানানো হয়।

গত ৪ এপ্রিল ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটির মাইলফলক ছাড়ায়। গত ২৩ মে করোনায় মৃত্যু তিন লাখের মাইলফলক ছাড়ায়।

গত ৩০ এপ্রিল ভারতে প্রথম এক দিনে চার লাখের বেশি মানুষের করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপর একাধিক দিন দেশটিতে চার লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়।

গত ৭ মে ভারতে প্রথম এক দিনে করোনায় চার হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তারপর একাধিক দিন দেশটিতে চার হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। ৯ জুন দেশটিতে রেকর্ড ছয় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়।

বিশ্বের কোনো দেশে এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক করোনা রোগী শনাক্তের রেকর্ড ভারতের দখলে। গত ২২ এপ্রিলের আগপর্যন্ত এ রেকর্ড যুক্তরাষ্ট্রের দখলে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে গত জানুয়ারিতে এক দিনে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

ওয়ার্ল্ডোমিটারস শুরু থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের করোনাবিষয়ক হালনাগাদ তথ্য দিয়ে আসছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে ভারত। ভারতের পর রয়েছে ব্রাজিল। আর মৃত্যুর দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরই রয়েছে ভারত।

ভারতে সংক্রমণ ‘বিস্ফোরণের’ জন্য করোনার ভারতীয় ধরনকে (ডেলটা) অনেকাংশে দায়ী করা হয়।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানলে প্রায় দুই মাস আগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য বিধিনিষেধ আরোপ করে। এখন সংক্রমণ কমতে থাকায় কোথাও কোথাও সতর্কতার সঙ্গে বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে। একই সঙ্গে করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের ব্যাপারেও রাজ্যগুলো প্রস্তুত হচ্ছে।

দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে ১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে বিনা মূল্যে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ২১ জুন থেকে এ লক্ষ্যে সব রাজ্য সরকারকে বিনা মূল্যে টিকা সরবরাহ করা হবে।