ভারতে প্রথম দিন ১ লাখ ৯১ হাজার মানুষ টিকা পেলেন

ভারতে গতকাল শনিবার করোনার গণটিকাকরণের কাজ শুরু হয়
ছবি: এএফপি

ভারতে প্রথম দিন ১ লাখ ৯১ হাজার মানুষ করোনার টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল শনিবার ভারতে করোনার গণটিকাকরণের কাজ শুরু হয়। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টিকা কর্মসূচির সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে দেশটির সরকার ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে তিন হাজারের বেশি টিকাকেন্দ্র স্থাপন করে। কেন্দ্রগুলো থেকে দুটি প্রতিষ্ঠানের টিকা দেওয়া হয়। একটি সেরাম ইনস্টিটিউটে প্রস্তুত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’, অন্যটি ভারত বায়োটেকে তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকা।

সেরাম পুনেভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে, ভারত বায়োটেক হায়দরাবাদের প্রতিষ্ঠান। চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারত সরকার ‘কোভিশিল্ড’ ও ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকার অনুমোদন দেয়।

প্রথম দিনে প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ১০০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য স্থির করা হয়। সে হিসাবে প্রথম দিনে প্রায় তিন লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছিল।

কিন্তু দিন শেষে দেখা যায়, ১ লাখ ৯১ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে লোকজনের মধ্যে যথেষ্ট দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ কারণে প্রথম দিনের লক্ষ্য পূরণ হয়নি।

কর্মকর্তারা বলেছেন, এদিক দিয়ে প্রথম দিনে তাঁরা সফল যে টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে কাউকে হাসপাতালে যেতে হয়নি।

টিকা নিয়ে কোনো রকম অপপ্রচার বা গুজবে কান না দিতে ভারতবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে তিনি টিকা নেওয়া সত্ত্বেও সবাইকে করোনার স্বাস্থ্যবিধিসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ মেনে চলতে বলেছেন।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ভারত।

প্রথম ধাপে সব ধরনের স্বাস্থ্যকর্মী ও বিভিন্ন জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িত দেশের মোট তিন কোটি মানুষকে বিনা মূল্যে টিকা দেওয়ার কথা সরকার জানিয়েছে।

প্রথম ধাপে দেশটি স্বাস্থ্যকর্মীসহ সম্মুখসারিতে থাকা বিভিন্ন জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত তিন কোটি মানুষকে বিনা মূল্যে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। পরের ধাপে ২৭ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে বয়স্ক ও দীর্ঘ মেয়াদে বিভিন্ন রোগে ভোগা ব্যক্তিরা টিকা পাবেন।

বিশ্ব করোনায় দ্বিতীয় ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ভারত। দেশটিতে ১ কোটি ৫ লাখের বেশি মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ লাখ ৫২ হাজারের বেশি মানুষ। চলতি বছরের প্রথম ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে ভারত ৩০ কোটি মানুষকে করোনার দুটি ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।