ভারতে মানবাধিকার হরণের প্রশ্ন ওঠালেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

শুক্রবার নয়াদিল্লিতে এসে পৌঁছান মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন
ছবি : এএনআই

ভারত সফরে এসে এ দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার হরণের প্রসঙ্গ তুললেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল লয়েড অস্টিন। আজ শনিবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় এই প্রসঙ্গের অবতারণার সুযোগ তাঁর ছিল না। তবে তিনি অন্য ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার সময় এই বিষয়ে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী ছাড়া জেনারেল অস্টিন বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। তবে তাঁদের নাম তিনি উচ্চারণ করেননি। কাল রোববার তিনি ফিরে যাবেন।

সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে জেনারেল অস্টিন বলেন, ‘আমাদের মনে রাখা দরকার ভারত আমাদের এক গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু ও শরিক। সঙ্গীদের সঙ্গে এই ধরনের আলোচনার প্রয়োজন আছে। সেই আলোচনা করতে আমরা স্বচ্ছন্দও বোধ করি। অর্থপূর্ণভাবে এই ধরনের আলোচনা হওয়া দরকার। সম্পর্কও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার।’

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গত শুক্রবার ভারত সফরে এসেছেন। তাঁর সফরের ঠিক আগে মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান রবার্ট মেন্ডেজ এক চিঠিতে বলেন, দুই দেশের মধ্যে আলোচনার সময় ভারতের গণতান্ত্রিক পরিবেশের বিষয়টি যেন তোলা হয়। ভারতকে বলা দরকার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি বিশ্বস্ত থাকা জরুরি। ভারত সেই মূল্যবোধ থেকে দ্রুত সরে যাচ্ছে। ভারত যেভাবে কৃষক আন্দোলন দমাচ্ছে, সাংবাদিক ও সমালোচকদের সঙ্গে ব্যবহার করছে, দমননীতি নিয়েছে, তা গণতান্ত্রিক পরিসরের অবনতির ইঙ্গিতবাহী। চিঠিতে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পরবর্তী অবস্থা ও নাগরিকত্ব আইন প্রণয়নের মাধ্যমে মুসলমান মনে আতঙ্ক সৃষ্টির উল্লেখও করা হয়।

জেনারেল অস্টিন বলেন, ‘আপনারা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বক্তব্য জানেন। মানবাধিকার ও আইনের শাসন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এই মূল্যবোধ নিয়েই আমরা চলি। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে এই মূল্যবোধ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ভারতও গণতান্ত্রিক দেশ। আপনারাও আপনাদের মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেন। এই ধরনের বহু ক্ষেত্রে আমরা একজোট হয়ে কাজ করতে পারি।
রাত আটটা পর্যন্ত এই বিষয়ে ভারতের সরকারি অভিমত জানা যায়নি।