ভারতের মরুরাজ্যের সঙ্কট কাটছে

সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী
সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী

ভারতের মরুরাজ্য রাজস্থানে কংগ্রেসের সঙ্কট কি কাটতে চলেছে? আজ বুধবার বিকেলে এই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিদ্রোহী নেতা শচিন পাইলট আজ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি কংগ্রেসেই আছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করে কংগ্রেসকে রাজ্যে ক্ষমতায় এনেছেন। বিজেপিতে যোগ দেবেন না।

শচিন সেই সঙ্গে বলেন, গান্ধী পরিবারের চোখে ছোট করার জন্য তাঁকে সবরকমভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। বিজেপির সঙ্গে সংশ্রবের কথাও বলা হচ্ছে।

অনুগামীদের নিয়ে বিদ্রোহ করে দিল্লির অদূরে এক রিসোর্টে চলে আসা শচিনের উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব গতকাল মঙ্গলবার কেড়ে নেওয়া হয়। অব্যাহতি দেওয়া হয় দলের সভাপতি পদ থেকেও। মন্ত্রিসভা ও দলীয় পদ থেকে বাদ দেওয়া হয় তাঁর অনুগামীদের।

শচিন বলেছিলেন সংবাদ সম্মেলন করবেন। কিন্তু তা করেননি। আজ এনডিটিভিকে এক সাক্ষাৎকার দেন। তাতে বলেন, দল ছাড়ার কোনো অভিপ্রায় তাঁর নেই। বিজেপিতেও যোগ দিচ্ছেন না। কংগ্রেসেই রয়েছেন।

ওই সাক্ষাৎকারে শচিন ক্ষোভ উগড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে। বলেন, রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়ে দেওয়ার পর থেকেই দলে তাঁকে কোণঠাসা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর অনুগামীরা সব কাজে বাধা দিচ্ছেন। উন্নয়নের কাজ বা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমলাদের সহযোগিতা পান না। মন্ত্রিসভার বৈঠকও ডাকা হয় না মাসের পর মাস। এই অবস্থায় পদ আঁকড়ে থাকা তাঁর অর্থহীন মনে হয়েছে।

শচিনের সঙ্গে বেশি বিধায়ক নেই বুঝে যাওয়ার পর বিজেপিও আস্থা ভোটের দাবি আর তুলছে না। এই অবস্থায় শচিন অনুগামীদের কাছে শোকজের নোটিশ পাঠিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার। তবে কংগ্রেস সূত্রের খবর, শচিন ও তাঁর অনুগামীদের দলে ধরে রাখার চেষ্টা চলছে যাতে বিজেপির অভিপ্রায় ব্যর্থ হয়। কংগ্রেস থেকে শচিনকে বলা হয়েছে, গুরুগ্রামে বিজেপির আতিথেয়তা অবিলম্বে ছেড়ে জয়পুর ফিরতে।

দলত্যাগ না করলে শচিনের ভবিষ্যৎ কী? প্রশ্নটি বিবেচিত হচ্ছে। শচিনের বাবা প্রয়াত রাজেশ পাইলট ছিলেন রাজীব গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার সঙ্গেও শচিনের সম্পর্ক মধুর। তাঁর প্রতি গান্ধী পরিবার সহানুভূতিশীলও। এই সঙ্কটের সময়ও তাঁকে বারবার বলা হয়, ভবিষ্যৎ তাঁরই। ধৈর্য রাখুন। দলীয় সূত্রের মতে, শচিনকে আপাতত কিছুদিন চুপ থাকতে হবে। তার পর কেন্দ্রীয় স্তরে দলীয় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।