ভারতের হিন্দু সংখ্যালঘু মামলা হাইকোর্টে

ভারতের ৯ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হিন্দুদের সংখ্যালঘু বিবেচনায় সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার মামলাটি হাইকোর্টে পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লির বিজেপি নেতা অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলাটি করেন।

অশ্বিনী কুমার আরজি জানান, ৯ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হিন্দুদের সংখ্যালঘু ঘোষণা করা হোক। তাদের সংখ্যালঘুর সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হোক।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর শুনানি শেষে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদের নেতৃত্বে গড়া ডিভিশন বেঞ্চ আরজি খারিজ করে দেন। এরপর অশ্বিনী সংখ্যালঘু সংজ্ঞা নির্ধারণের জন্য আবার মামলা করলে গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রোহিংটন নরিম্যানের বেঞ্চ মামলাটি গ্রহণ না করে আবেদনকারীকে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

অশ্বিনী কুমার জানান, দুই দিনের মধ্যেই তিনি হাইকোর্টে যাবেন।

এর আগে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেন, ধর্মের ভিত্তিতে রাজ্য গঠন হয়নি। গঠন হয়েছে ভাষার ভিত্তিতে।

সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপালও জানান, ভাষার ভিত্তিতেই সংখ্যালঘু নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্য কিছুর ভিত্তিতে নয়।

অশ্বিনী কুমারের আইনজীবী মোহন পরাশরণ বলেন, কোন রাজ্য-অঞ্চলে কোন সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু বলা হবে, তা নিয়ে কোনো গাইডলাইন নেই। দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য-অঞ্চলে হিন্দু সম্প্রদায় সংখ্যালঘু হলেও তাদের সংখ্যালঘুর মর্যাদা দেওয়া হয়নি। ফলে সংখ্যালঘুদের দেওয়া প্রাপ্য সুবিধা তারা পাচ্ছে না।

১৩০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে রয়েছে ২৮টি রাজ্য ও ৯টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এই রাজ্য–কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ৯টিতে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। এগুলো হলো—মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মণিপুর, অরুণাচল, পাঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীর, লাক্ষাদ্বীপ ও লাদাখ।