মহারাষ্ট্রে বন্যা-ভূমিধসে ৭২ ঘণ্টায় ১৫০ জনের মৃত্যু

বন্যা-ভূমিধসে মহারাষ্ট্রে প্রাণহানির পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ছবি: এএফপি

বন্যা ও ভূমিধসে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য বিপর্যস্ত। দুর্যোগে রাজ্য প্রাণহানির পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি। মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুর্যোগে গত ৭২ ঘণ্টায় প্রায় দেড় শ মানুষ মারা গেছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে রাজ্যে এখন পর্যন্ত ২২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে গত ৭২ ঘণ্টায় ১৪৯ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৩৭ জন। মোট আহত শতাধিক। এ ছাড়া ১০০ জনের বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ।

গতকাল রোববার মহারাষ্ট্রের সাতারা ও রায়গড় জেলা থেকে ৩৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রাজ্যের অন্যান্য জেলায়ও বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাতারায় ৪১ জন, রায়গড়ে ৬০ জন, রত্নাগিরিতে ২১ জন, কোলাপুরে ৭ জন, থানেতে ১২ জন, মুম্বাই শহরতলিতে ৪ জন, সিন্ধুদুর্গে ২ জন ও পুনেতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

কংকন অঞ্চল ও পশ্চিম মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জেলা থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

রত্নাগিরি জেলার বন্যাপ্লাবিত চিপলুন শহরে পাঁচটি ত্রাণশিবির নির্মাণ করা হয়েছে।

চিপলুন ও মুম্বাইয়ের সংযোগকারী সেতু বন্যায় ভেঙে গেছে। তাই সড়কপথে যাতায়াত এখন বন্ধ আছে।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রায়গড় ও রত্নাগিরি জেলায় দুই কোটি রুপি করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাতারা, পুনে, থানে, কোলহাপুর, সংগলী, সিন্ধুদুর্গকে ৫০ লাখ রুপি করে দেওয়া হয়েছে।

বন্যার কারণে ৮৯০টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এই দুর্যোগে তিন হাজারের বেশি পশুপাখির মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চিপলুন পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীদের সব রকমের সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।