মিজোরামে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটার বেশি

ভারতের মিজোরামে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছে। কংগ্রেস–শাসিত ওই রাজ্যে চলতি বছরেই বিধানসভার নির্বাচন। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় পুরুষের চেয়ে নারীরা ভোটারের সংখ্যা বেশি।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ভারতের ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্য মিজোরাম। মাত্র ৪০ সদস্যের মিজোরাম বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর। এর মধ্যেই ভোটপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এস বি শশাঙ্ক জানান, ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই তাঁরা সব রকমের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। ভোটার তালিকা প্রকাশ তারই অংশ।

মিজোরামের ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৯টিই ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজনের জন্য সংরক্ষিত। সাধারণ প্রার্থীদের জন্য রয়েছে একটি মাত্র আসন।

শশাঙ্ক বলেন, নতুন ভোটার তালিকায় নারীরা পুরুষদের থেকে সংখ্যায় ১৯ হাজার ১৮৯ জন বেশি। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯৬। রাজ্যে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৬৮৫ জন নারী ভোটার রয়েছেন। তবে ভোটে প্রার্থী হিসেবে পুরুষেরা এগিয়ে। গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪০টি কেন্দ্রের ১৪২ জন প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ৬ জন নারী ছিলেন। তাঁরা কেউই জিততে পারেননি।

কিন্তু ভোটের প্রচারে বা অন্যান্য কাজে নারীরা পুরুষদের সঙ্গে রীতিমতো পাল্লা দেন। সাংগঠনিক বা প্রশাসনিক দক্ষতায় মিজো নারীরা অনেকটাই এগিয়ে। মিজো সমাজে নারীরাই সবচেয়ে বেশি রোজগার করেন। গৃহস্থালির পাশাপাশি অর্থ উপার্জনেও নারীরাই এগিয়ে। তবু সম্পত্তির অধিকার নেই এখনো।

উত্তর–পূর্বাঞ্চলের আট রাজ্যের বাকি সাতটিতেই এখন বিজেপি স্থানীয় দলের সঙ্গে জোট করে সরকার পরিচালনায় রয়েছে। শুধু মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলার নেতৃত্বে মিজোরাম কংগ্রেসের দখলে। তবে কংগ্রেস মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎমন্ত্রী লাল জিরলিয়ানা বিজেপির বন্ধু দল মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টে যোগ দেওয়ায় এখানেও বিপাকে তাঁরা। গত বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্য কংগ্রেস ৪০টির মধ্যে ৩৪টি আসনই দখল করে। পাঁচটি পায় আঞ্চলিক দল এমএনএফ। একটি যায় অন্য আঞ্চলিক দল এমপিসির দখলে।