মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানি হতে পারে আজ

মিঠুন চক্রবর্তী
ফাইল ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এবারের রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে বলিউড তারকা মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপির হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও করেছে দলটি। এ নিয়ে আজ বুধবার কলকাতার হাইকোর্টে শুনানি হতে পারে।

উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গত ৬ মে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কলকাতার মানিকতলা থানায় মামলা করে উত্তর কলকাতার যুব তৃণমূল কংগ্রেস। আবেদনে বলা হয়, মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপির প্রচারে এসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। বিশেষ করে উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে মিঠুন চক্রবর্তী এই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও শান্তিভঙ্গের চেষ্টা চালান। এমনকি বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন।

মিঠুন চক্রবর্তী একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে উল্লেখ করে মামলাটি খারিজের আবেদন করেন কলকাতা হাইকোর্টে। আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার মিঠুন চক্রবর্তীর আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন, রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতেই মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। ওই অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। তিনি বলেন, মিঠুন চক্রবর্তীর সংলাপে যদি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হতো, তাহলে নির্বাচন কমিশনই মিঠুনের বিরুদ্ধে নোটিশ দিত। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি মিঠুন চক্রবর্তীকে।

বিকাশ সিং বলেন, নিজের অভিনীত ছবির সংলাপ তিনি ভোটের ময়দানে ব্যবহার করেছেন, যা সেন্সর বোর্ড আগেই অনুমোদন করেছে। তাই এই অভিযোগও ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক। মিঠুন চক্রবর্তী যখন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন, তখনো তিনি এই সংলাপগুলো ব্যবহার করেছেন।

এদিকে মিঠুন বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারে গেলে মানুষজন বিভিন্ন ছবির সংলাপ শোনার আবদার করেন। আমি শুধু সেই সংলাপ শুনিয়েছি। সুতরাং এ নিয়ে কোনো উসকানি দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।’

মিঠুন চক্রবর্তী গত ৭ মার্চ কলকাতার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। এই সমাবেশে যোগ দিয়ে মোদির হাত ধরে সেদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ওই দিন তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রের সংলাপ শুনিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে’। এরপরই মিঠুন বলেন, ‘এবার আমি নতুন আর একটি সংলাপ শোনাব। সেটা হলো, ‘আমি জলঢোরা নই, বেলেবোরাও নই, আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি।’ আর এতেই খেপে যায় তৃণমূল। তারপরই মামলা করা হয় কলকাতার মানিকতলা থানায়।