মেডিকেলে চান্স না পাওয়ায় হত্যা!

ভারতের হায়দরাবাদের নাগোল এলাকায় হরিকা (২৫) নামের এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ এটিকে হত্যা বলে ধারণা করছে। হরিকার পরিবারের তরফ থেকেও একই সন্দেহ করা হচ্ছে বলে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে।

হরিকার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় তাঁর স্বামী রুশি কুমার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তাঁকে হত্যা করেছেন। তবে হরিকার স্বামীর দাবি, তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।

এল বি নগর বিভাগের এসিপি বেনুগোপাল রাও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এটিকে হত্যা বলে মনে হচ্ছে। আমাদের সন্দেহ, লোকটি তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেছে।’ তিনি বলেন, হরিকা আগুনে পুড়ে মারা গেছেন, নাকি তাঁকে হত্যার পর আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছে, সেটি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলেই বোঝা যাবে।

হরিকার মা ও বোন এনডিটিভিকে জানান, দুই বছর আগে রুশির সঙ্গে হরিকার বিয়ে হয়। হরিকা এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় রুশি প্রায়ই তাঁকে হয়রানি করে আসছিলেন। যদিও হরিকা এ বছর বিডিএসে ভর্তি হতে পেরেছেন। তাদের দাবি, হরিকার স্বামী যৌতুকের জন্যও নানাভাবে তাঁকে নির্যাতন করতেন। এটা পরিকল্পিত খুন বলে দাবি করেন তাঁরা।

পুলিশ জানায়, রোববার রাতে হরিকার স্বামী তাঁর মাকে ফোন করে জানান যে তিনি শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। তবে হরিকার পরিবারের অভিযোগ, তাঁর স্বামী তাঁকে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, অভিযোগ দায়েরের পর যৌতুকের জন্য হয়রানির অভিযোগে রুশি ও তাঁর বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে।