মোদির মন্ত্রিসভা বাড়াতে ৮ রাজ্যপাল রদবদল

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ফাইল ছবি: এএনআই

ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণের পর নরেন্দ্র মোদি প্রথমবার তাঁর মন্ত্রিসভার বহর বাড়াতে চলেছেন। বৃহস্পতিবার সেই কাজ তিনি সেরে ফেলবেন বলে সরকারি সূত্রের খবর। তার আগে আজ মঙ্গলবার আট রাজ্যের রাজ্যপাল রদবদল করা হয়েছে।

রাজ্যপাল রদবদল করা হলেও যে দুই রাজ্যের রাজ্যপালদের অপসারণের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষে বারবার কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তাঁরা বহাল রয়েছেন। তাঁরা হলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এবং কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। যে রাজ্যগুলোর রাজ্যপালদের বদলানো হয়েছে, সেগুলো হলো কর্ণাটক, মিজোরাম, গোয়া, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ ও ত্রিপুরা। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ত্রিপুরা রাজ্যের রাজ্যপাল করা হয়েছে হরিয়ানার রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আচার্যকে। কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও রাজ্যসভার সাংসদ থেবরচাঁদ গেহলটকে কর্ণাটকের রাজ্যপাল করা হয়েছে।

প্রশাসনিক এই রদবদলের প্রধান কারণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, এই কাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার সেরে ফেলতে চাইছেন, যাতে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরুর আগে নতুন মন্ত্রীরা নিজেদের তৈরি করে নিতে পারেন।

মোদির দ্বিতীয় দফার শাসনামলে এটাই হবে মন্ত্রিসভার প্রথম সম্প্রসারণ। এই মুহূর্তে কেন্দ্রে মন্ত্রিপরিষদে আছেন ৫২ জন। আরও ৩১ জনকে তিনি নিযুক্ত করতে পারেন। অনেক মন্ত্রীর কাছে একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব রয়েছে। মন্ত্রিসভার বহর বাড়ানোর মধ্য দিয়ে সেই ভার মোদি লাঘব করতে পারবেন। এই রদবদলের প্রধান লক্ষ্য হতে চলেছে আগামী বছরের প্রথম দিকে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। সম্ভাব্য মন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই দিল্লি আসতে শুরু করেছেন।

সোয়া বছর ধরে মন্ত্রিত্বের আশায় বসে রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস ত্যাগী নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। অপেক্ষায় রয়েছেন আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, বিহারের বিজেপি নেতা ও সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি, উত্তর প্রদেশের রীতা বহুগুনা যোশি, বরুণ গান্ধী ও ওই রাজ্যের শরিক আপনা দলের নেত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জনতা দল (এস) নেতা নীতীশ কুমার এর আগে কেন্দ্রের মন্ত্রিত্ব নিতে অস্বীকার করেছিলেন। কারণ, তখন বিজেপি নীতীশের দল থেকে মাত্র একজনকে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল। এবার তিনি দুজনের দাবি পেশ করেছেন। উত্তর প্রদেশের ব্রাক্ষ্মণ নেতা জিতিন প্রসাদের নামও শোনা যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে মন্ত্রী রয়েছেন দুজন—বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী। তাঁদের পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও মতুয়া নেতা শান্তনু ঠাকুরের নাম।