রাজ্য আইনসভার ভবনে রাত কাটালেন আম আদমি পার্টির বিধায়কেরা

ভারতে পাঞ্জাব আম আদমি পার্টির বিধায়কেরা সারা রাত কাটিয়েছেন রাজ্য আইনসভার ভবনে।
ছবি: টুইটার

ভারতে পাঞ্জাব আম আদমি পার্টির বিধায়কেরা সারা রাত কাটিয়েছেন রাজ্য আইনসভার ভবনে। কৃষিসংক্রান্ত নতুন আইনের খসড়ার বিষয়ে কিছু না জানানোয় অমরিন্দর সিং সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এ অবস্থান নেন তাঁরা।

এনডিটিভির খবরে জানা যায়, স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রস্তাবিত আইনের খসড়া উত্থাপিত হওয়ার কথা। আম আদমি পার্টির বিধায়কেরা এ আইনের খসড়া নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনার জন্য দাবি জানিয়েছেন। রাজ্য আইনসভার ভবনে বিধায়কদের বসে থাকতে দেখা গেছে।

খসড়া বিলের অনুলিপির দাবিতে আম আদমি পার্টির বেশ কয়েকজন এমএলএ গতকাল সোমবার রাত পর্যন্ত ভবনে বসে ছিলেন। রাষ্ট্রীয় আইন মেনেই কেন্দ্রের নতুন কৃষিবিষয়ক আইনের প্রতিবাদ করতে চাইছেন পাঞ্জাবের নেতারা।

আম আদমি পার্টির নেতা হরপাল চিমা পিটিআইকে বলেন, কৃষি আইনের খসড়াটিতে তাঁরা সমর্থন দেবেন। তবে এই আইনের খসড়ার অনুলিপি তাঁদের দিতে হবে। হরপাল আরও বলেন, ‘আমরা অন্যান্য বিলের অনুলিপিও পাইনি। তাহলে কীভাবে আমাদের আইনপ্রণেতারা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোয় আলোচনা ও বিতর্ক চালিয়ে যেতে পারবেন?’
কৃষি আইনকে কেন্দ্র করে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স থেকে বেরিয়ে গেছে আকালি দল। তারা বলেছে, বিলটি বিধানসভায় উত্থাপিত হওয়া উচিত।

পাঞ্জাবের এমএলএ নভজ্যোত সিং সিধু বিধানসভার অধিবেশনে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছেন। গত বছর রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের পর এই প্রথম তিনি অধিবেশনে যোগ দিলেন।

ইউটিউব চ্যানেলে সিধু রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোয় কেন্দ্রের কৃষি আইনকে ‘সহিংস হামলা’ হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি ন্যূনতম আর্থিক সহায়তা ও সরকারি পর্যায়ে শস্য সরবরাহব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা বলেন। কংগ্রেসের এই নেতা আরও বলেন, কেন্দ্র কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার কথা বলেছে। কিন্তু তাঁদের নিশ্চিত আয় কেড়ে নিচ্ছে।
সিধু আরও বলেন, এসব কালো আইন দেশের রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর ওপর সহিংস হামলা। তাঁরা পাঞ্জাবে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করেছেন।

কৃষিবিষয়ক বিতর্কিত তিনটি বিল রাজনীতিতে ব্যাপক সাড়া ফেলে। ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ২৯ সেপ্টেম্বর সই করার পর বিলগুলো আইনে পরিণত হয়।