শান্তিনিকেতনে গাছে আঁচড় পড়ছে না

শান্তিনিকেতনের সড়ক সম্প্রসারণের ফলে কোনো গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
শান্তিনিকেতনের সড়ক সম্প্রসারণের ফলে কোনো গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনের সড়ক সম্প্রসারণের ফলে কোনো গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে জানিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার দুপুরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক সবুজ কলি সেন গাছ না কাটার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রথম আলোকে সবুজ কলি সেন বলেন, বিশ্বভারতীতে যে শুধু ঐতিহ্যবাহী ভবন রয়েছে, তা নয়, প্রতিটি পরতে পরতে ঐতিহ্যের ছাপ। বহু গাছ রয়েছে এ ঐতিহ্য নিয়ে। তাই ঐতিহ্যবাহী এসব গাছকে রক্ষা করেই সড়কের সম্প্রসারণ হবে। বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন এলাকার সড়ক সম্প্রসারণ করা হবে।


বিশ্বভারতী চত্বরের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে এই সড়ক সম্প্রসারণ জরুরি হয়ে পড়েছে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পাঁচটি সড়কের সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে এসব সড়কের পাশে থাকা বেশ কিছু গাছ কাটা পড়তে পারে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ নিয়ে যাতে প্রশ্ন না ওঠে, তাই আগেভাগেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই গাছ কাটা হবে না বলে আগাম ঘোষণা দিয়েছে।

প্রস্তাবিত পাঁচটি সড়ক সম্প্রসারণের প্রথম পর্যায়ে পোস্ট অফিস থেকে কালিসারা পর্যন্ত সড়কটির সম্প্রসারণের কাজ শুরু হবে। পরবর্তী পর্যায়ে অন্য চারটি সড়ক সম্প্রসারণের কাজ।

এর আগে শ্যামবাটি এলাকার সড়ক সম্প্রসারণের সময় ওই এলাকার কিছু গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ৯ মার্চ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল শান্তিনিকেতন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীরা গাছ না কেটে রক্ষার জন্য দাবি তুলে বিক্ষোভ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে রাজ্যের শাসক দলের সমর্থকেরা গাছ কাটার পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভকারীদের তাড়িয়ে দেয়। এমনকি তারা ছাত্রছাত্রীদের মারপিটও করে। বন দপ্তর থেকে অনুমতি না নিয়ে গাছকাটার অভিযোগ এনে এই গাছকাটা বন্ধের জন্য পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত শান্তিনিকেতন থানায় ওই দিনই একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনার পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গাছ না কেটে গাছকে রেখেই সড়ক সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।