সেই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে মমতার ২০২৬ সাল পর্যন্ত নয়া চুক্তি

প্রশান্ত কিশোর
প্রথম আলো ফাইল ছবি।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসকে বিধানসভা নির্বাচনে জিতিয়ে নিজের অবস্থা আরও পাকাপোক্ত করেছেন ভোটকুশলী বা ভোটবিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোর। তাঁর সঙ্গে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন ও ২০২৬ সালের রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন পর্যন্ত চুক্তি করেছে তৃণমূল। গত সোমবার এই চুক্তি হয়েছে।

সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ঘোষণা দিয়েছিল, তারা পশ্চিমবঙ্গে ২০০ আসন পাবে। আর প্রশান্ত কিশোর সেই ঘোষণার পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছিলেন, বিজেপি দুই অঙ্কের গণ্ডি পার হতে পারবে না। ক্ষমতায় আসবেন মমতাই। এর ব্যত্যয় হলে তিনি তাঁর সংস্থা থেকে বিদায় নেবেন। ভোট পরামর্শদাতার কাজ চিরদিনের জন্য ছেড়ে দেবেন। প্রশান্ত কিশোরের চ্যালেঞ্জই শেষ পর্যন্ত টিকে যায়। মমতা জেতেন ২১৩ আসন আর বিজেপি জেতে মাত্র ৭৭টি আসন।

এই বিপুল বিজয়ের পর সোমবার প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে নতুন চুক্তি হয়। এই চুক্তি হয়েছে মূলত তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর প্রতিষ্ঠান আইপ্যাক বা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটির। তবে প্রশান্ত কিশোর বলেন, তাঁর চোখ তৃণমূলের দিকে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে মূল দায়িত্ব পালন করবে আইপ্যাক। তিনি পরামর্শ দেবেন। কীভাবে ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করে এই রাজ্যে তৃণমূল ঝান্ডা সমুন্নত রাখবে, সে জন্য তিনি কাজ করে যাবেন। একই সঙ্গে তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মমতাকে জাতীয় নেত্রীর মুখ করে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করতে কাজ করে যাবেন।

যদিও এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে মমতা তাঁর দলকে সর্বভারতীয় স্তরে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োগ করেছেন তাঁরই ভাইপো সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অভিষেকই এখন প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তৃণমূলের রাজনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজে নেমেছেন। এ লক্ষ্যে প্রশান্ত কিশোরও ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, তামিলনাড়ুর ডিএমকে–দলীয় মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন, মহারাষ্ট্রের শিবসেনা প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গেও কথা বলেছেন।

এর আগে তৃণমূলের জয়ের পর প্রশান্ত কিশোর সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, এবার তিনি বিদায় নিতে পারেন। প্রশান্তকে ২০২১ সালের বিধানসভার নির্বাচনে পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করেছিল পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল। আর এর নেতৃত্বে ছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমে প্রচার পায়, ৫০০ কোটির রুপির বিনিময়ে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে সেই চুক্তি হয়েছিল।