হঠাৎ বৃষ্টি, নাচলেন তিনি

বৃষ্টির আনন্দে নাচছেন বনকর্মী
টুইটার থেকে

আগুনে পুড়ছে বন। জ্বলছে গাছপালা, পশুপাখির আবাস। শতচেষ্টায়ও নেভানো যাচ্ছে না। দিন দিন তা ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। আগুনের রাশ টানতে গিয়ে গলদঘর্ম বনকর্মীরা। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎই ঝমঝমিয়ে নামে বৃষ্টি। আর তাতেই খুশিতে নেচে ওঠেন একজন বনকর্মী।

সাম্প্রতিক এ ঘটনা ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওডিশার। বনকর্মীর হাসিমুখের সেই নাচের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। প্রশংসা কুড়িয়েছে অনেকের।

ওডিশার ময়ূরভঞ্জ জেলায় সিমলিপাল ন্যাশনাল পার্ক। গাছপালায় ঘেরা অনন্য প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং পশুপাখির উপস্থিতির কারণে পর্যটকদের কাছে এই পার্ক আকর্ষণীয়। তবে বর্তমানে ভালো নেই এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ ও পশুপাখি।

ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জ্বলছে সিমলিপাল ন্যাশনাল পার্ক। বন ও অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের শতচেষ্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। সময়ের সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে।

ছড়িয়ে পড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে অন্যদের সঙ্গে কাজ করছিলেন বনকর্মী স্নেহা ধাল। হঠাৎ বৃষ্টি নামলে খুশিতে নেচে ওঠেন তিনি। বনের আগুন নিয়ন্ত্রণে দুহাত মেলে পানি ঢেলে দিয়েছে প্রকৃতি। এবার যেন আর চিন্তা নেই। মানুষ না পারলেও প্রকৃতি নিজেই এবার আগুনের রাশ টানবে। এ চিন্তায় খুশিতে ভরে ওঠে স্নেহার মন। আপনমনে নেচে ওঠেন তিনি। একজন সহকর্মী স্নেহার নাচের ভিডিও করেন।

পরে ভিডিও ফুটেজটি টুইটারে আপলোড করা হলে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দুই পাশে হাত মেলে নাচতে দেখা যায় স্নেহাকে। এ সময় তাঁর মুখে ছিল চওড়া হাসি। স্রষ্টার উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘আরও বৃষ্টি দাও।’

স্নেহার হাসিমুখের নাচের এ ভিডিও টুইটারে ১৭ লাখের বেশি মানুষ দেখেছেন। ভিডিওটি শেয়ার করে ড. যুগল কিশোর লিখেছেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় বৃষ্টি নামায় বনকর্মী স্নেহা ধাল অবশেষে খুশি হয়েছেন।

ভিডিওটি শেয়ার করেছেন জ্যেষ্ঠ আইএফএস কর্মকর্তা রমেশ পান্ডে। এর সঙ্গে স্যাটেলাইট থেকে তোলা সাম্প্রতিক ছবি যুক্ত করে তিনি জানান, বৃষ্টি হওয়ার কারণে সিমলিপাল ন্যাশনাল পার্কের আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

এদিকে ওডিশার রাজ্য সরকার গত মঙ্গলবার জানিয়েছে, ৯৫ শতাংশ এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ভারতের কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাবেধকর সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারকে সহায়তার লক্ষ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি পাঠিয়েছেন।