৮ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে কলকাতার মেট্রোরেল

কলকাতার মেট্রোরেল
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

কাল মঙ্গরবার থেকে ভারতে শুরু হচ্ছে করোনা প্রতিরোধে আনলক-৪ পর্ব। আর আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গজুড়ে চলছে সাপ্তাহিক পূর্ণ লকডাউনের এ মাসের শেষ দিন। অন্যদিকে ভারতে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হচ্ছে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে। তবে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরে মেট্রোরেল চলবে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, মেট্রোরেল চালাতে হবে সামাজিক দূরত্ব মেনে। প্রতিটি কামরায় ৫০ জনের বেশি যাত্রী উঠতে পারবে না। ট্রেনে উঠার সময় প্রত্যেক যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ট্রেনে তোলা হবে। সঙ্গে থাকতে হবে মাস্ক। স্টেশনে থাকবে স্যানিটাইজের ব্যবস্থা। তবে কলকাতাসহ ভারতে লোকাল ট্রেন চলার এখনো সংকেত দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।

যদিও পশ্চিমবঙ্গের সরকার মেট্রোরেলের পাশাপাশি সীমিতভাবে পশ্চিমবঙ্গে লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্রসচিব আলোপন বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে ভারতের রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার যাদবের কাছে চিঠি দিয়েছেন। তবে এখনো লোকাল ট্রেন চালানোর সংকেত মেলেনি।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা মতে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ভারতের সর্বত্র আনলক-৪ বহাল হচ্ছে। এই আনলকে এবার ভারত সরকার ঘোষণা দিয়েছে, ২১ সেপ্টেম্বর থেকে গোটা দেশে সামাজিক, শিক্ষাগত, ক্রীড়াবিষয়ক, সাংস্কৃতিক, বিনোদনমূলক এবং ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সভা, অনুষ্ঠান করা যাবে। তবে ওই সব সমাবেশ বা অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি হতে পারবে না। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে খুলবে সব মুক্তমঞ্চ। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বন্ধ থাকবে সিনেমা হল, সুইমিংপুল, বিনোদন পার্ক এবং বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহ। সরকারের বিশেষ অনুমতি ছাড়া চলবে না কোনো আন্তর্জাতিক বিমান।

এদিকে সাপ্তাহিক পূর্ণ লকডাউনের আজ সোমবার ছিল এ মাসের সাপ্তাহিক লকডাউনের শেষ দিন। আজ সকাল ৬টা থেকে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে শুরু হয় এই লকডাউন। চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। এই লকডাউনের জেরে কলকাতাসহ রাজ্যে চলেনি যানবাহন, খোলেনি হাটবাজারের দোকান, বন্ধ রয়েছে অফিস–আদালত। তবে চালু রয়েছে জরুরি পরিষেবা। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুধু কনটেনমেন্ট জোনে লকডাউন চলবে।

কনটেনমেন্ট জোনগুলো নির্বাচিত করবে জেলা প্রশাসন। কেন্দ্রীয় সরকার আরও ঘোষণা দিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করে কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া দেশের অন্য কোথাও লকডাউন করা যাবে না। লকডাউন করতে গেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতি নিতে হবে। প্রতিটি রাজ্যের কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে।