'দিদি' আর 'আম্মা'র ওপর আস্থা

ভারতের পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচনের ফল আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয়েছে। এই পাঁচ রাজ্যের ফলে দেখা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুতে দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে চলেছে ক্ষমতাসীনেরা। কেরালায় সিপিএমের নেতৃত্বাধীন এলডিএফ, পদুচেরিতে কংগ্রেস এবং আসামে প্রথমবারের মতো সরকার গড়তে চলেছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি।
২৩৪ আসনের মধ্যে তামিলনাড়ুতে জয়ললিতার নেতৃত্বাধীন এআইডিএমকে পেয়েছে ১৩৪টি। পশ্চিমবঙ্গে মমতার তৃণমূল কংগ্রেস ২৯৪টির মধ্যে ২১১টি আসন পেয়েছে। এই রাজ্যে কংগ্রেস ৪৪টি এবং বাম-কংগ্রেস জোট মিলে ৭৭টি আসন পেয়েছে। আসামে ১২৬টির মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৮৬টি, কেরালায় ১৪০টির মধ্যে এলডিএফ ৯১টি, পদুচেরিতে ৩০টির মধ্যে কংগ্রেস ১৭টি আসন পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে মমতাকে সবাই ‘দিদি’ নামেই ডাকে আর তামিলনাড়ুতে জয়ললিতাকে ডাকা হয় ‘আম্মা’ নামে। বিশ্লেষকেরা তাই বলছেন, ভোটাররা ‘দিদি’ আর ‘আম্মা’র ওপরই আস্থা রেখেছেন।
নির্বাচনের ফলাফলে দখা যাচ্ছে, কংগ্রেসের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধে ভরাডুবি ছাড়াও কেরালায় ক্ষমতাচ্যুত হতে চলেছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। তামিলনাড়ুতে জোটসঙ্গী ডিএমকের সঙ্গে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসেরও। পদুচেরিতে শুধু কংগ্রেস-ডিএমকে জোট এআইএনআরসির চেয়ে এগিয়ে থেকে সরকার গঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। পাঁচ রাজ্যের এমন ফল মেনে নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন, ‘জনগণের এই ফল আমরা মেনে নিয়েছি।’
মমতাকে মোদির ফোন
আসনসংখ্যা ডবল সেঞ্চুরি হওয়ায় তৃণমূলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মমতাকে অভিনন্দন জানানোর খবরটি নরেন্দ্র মোদি নিজেই টুইট করে জানান।
আসামে বিজেপি যে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসতে চলেছে, সে ইঙ্গিত শুরু থেকেই বুথ ফেরত জরিপে পাওয়া গিয়েছিল।
কেরালায় বিজেপি প্রথমবারের মতো একটি আসন পেয়েছে। এবারের ভোটে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে কংগ্রেস। দলটি আসাম ও কেরালার মতো দুটি রাজ্য হারাল।
হারলেন শ্রীশান্থ
শ্রীশান্থ জড়িয়েছেন ক্রিকেটের স্পট ফিক্সিং দুর্নীতে। ক্রিকেট মাঠে বোলিং দাপট বেশি দিন দেখতে পারেননি। তাই বল বাদ দিয়ে রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছিলেন। বিজেপিতে যোগ দিয়ে কেরালার তিরুবন্তপুরম থেকে প্রার্থীও হয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের মাঠেও ব্যর্থ তিনি। কংগ্রেসের প্রার্থী ভি এস শিবকুমারের কাছে হেরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ওই আসনে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি শ্রীশান্থের।