ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত ২০০ ফিলিস্তিনি

ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর এক ফিলিস্তিনি বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখান। আজ গাজার খান ইউনিস এলাকায়ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি দুই কারাগার থেকে ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি পেয়েছেন। এর আগে চার ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দেয় হামাস। আজ শনিবার এই ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিরা মুক্তি পান।

ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিম তীরের অফার কারাগার ও নেগেভ মরুভূমির কাজিয়ত কারাগার থেকে আজ ২০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্ত হওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী নারী ও পুরুষ রয়েছেন।

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর এক ফিলিস্তিনিকে কাঁধে তুলে নিয়ে উল্লাস। খান ইউনিস, গাজা, ২৫ জানুয়ারি
ছবি: রয়টার্স

কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত রোববার গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এর মধ্য দিয়ে ১৫ মাসের এ যুদ্ধের আপাতত ইতি ঘটেছে। এরপর আজ দ্বিতীয় দফায় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিরা মুক্তি পেলেন। এর আগে প্রথম দফায় হামাস তিন জিম্মিকে ছেড়ে দেয়। এর বদলে ইসরায়েলের কারাগারগুলো থেকে মুক্তি পান ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দী। যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ধাপে ধাপে হামাস জিম্মিদের ছেড়ে দেবে। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি বন্দীদেরও মুক্তি দেবে ইসরায়েল।

মুক্তি পাওয়ার পর স্বজনদের কাছে এক ফিলিস্তিনি। রামাল্লা, ফিলিস্তিন, ২৫ জানুয়ারি
ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় । ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। জিম্মি করে গাজায় নেওয়া হয় ২৫১ জনকে। ওই দিনই গাজা উপত্যকায় নৃশংস হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে গাজায় ৪৭ হাজার ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই বেসামরিক মানুষ।

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের নিয়ে খান ইউনিসে উল্লাস স্বজন–সহকর্মী ও সাধারণ মানুষের। গাজা, ২৫ জানুয়ারি
ছবি: রয়টার্স
আরও পড়ুন