ফেসবুকে ৩০০ কোটি ব্যবহারকারী, তবু তরুণেরা বিমুখ

টম অ্যালিসন

ফেসবুক ব্যবহারকারীর মাইলফলক ৩০০ কোটি ছুঁয়েছে। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক–তৃতীয়াংশের বেশি এখন ফেসবুক ব্যবহার করছেন। কিন্তু এখনো মার্কিন এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির কর্তৃপক্ষকে এর ভবিষ্যৎ ও প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে লড়তে হচ্ছে।

এর কারণ, তরুণ প্রজন্ম ফেসবুক–বিমুখ। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, প্ল্যাটফর্মটি এখনো জীবন্ত। ফেসবুককে ‘বুড়োদের জায়গা’ বলে তরুণেরা মুখ ফিরিয়ে নিলেও তারা তা মানতে নারাজ। তরুণদের কাছে ফেসবুককে আকর্ষণীয় করে তুলতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছেন ফেসবুক প্রধান টম অ্যালিসন।

তবে ফেসবুকের পথের কাঁটা এখন ভিডিও শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম টিকটক। অবশ্য চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলতে থাকা ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে টিকটকের ওপর সরকারি নজরদারি বাড়ছে। এই সুযোগে ফেসবুক যুক্তরাষ্ট্রে নির্ভরযোগ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে নিজেকে দাঁড় করানোর সুযোগ নিতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হচ্ছে, নতুনদের মধ্যে ফেসবুকের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনা।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটানে জনসংযোগের কাজ করেন ২৪ বছর বয়সী ডেভিন ওয়ালস। তিনি ফেসবুক ব্যবহার করা ছেড়ে দিয়েছেন। ওয়ালস বলেন, ‘আমি শেষবার কবে ফেসবুকে লগইন করেছি, মনে করতে পারি না। বেশ কয়েক বছর আগে আমি ফেসবুকে ঢুকেছিলাম।’

ফেসবুকের পরিবর্তে ওয়ালস ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার আরেক সেবা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেন। তিনি দিনে ছয়বার অন্তত ইনস্টাগ্রামে ঢোকেন। এরপর তিনি ঢোকেন টিকটকে। অথচ ষষ্ঠ গ্রেডে পড়ার সময় ফেসবুকে ঢুকেছিলেন ওয়ালস।

ফেসবুকের বয়স প্রায় দুই দশক পার হতে চলেছে। ২০০৪ সালে হার্ভার্ডের এক ডরমিটরিতে ফেসবুক ডটকম চালু করেছিলেন মার্ক জাকারবার্গ। বর্তমানে দিনে ২০০ কোটি ফেসবুক ব্যবহারবারী থাকলেও ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে বেশ কিছু সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।

তাদের মূল সমস্যা প্রাসঙ্গিকতার। কারণ, তরুণ প্রজন্মের কাছে ফেসবুক এখন আর কোনো আকর্ষণীয় জায়গা নয়। ই–মেইলের মতো বিরক্তিকর ও বিবর্ণ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে এটি।

ফেসবুকের প্রধান টম অ্যালিসন সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি ফেসবুকের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। তরুণদের টানতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগাবেন তাঁরা।