এ ফুলের কাছে যাওয়া বারণ

সবচেয়ে বিষাক্ত ফুল গাছ রিসিনাস কমিউনিস
ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

মাঝারি আকারের একটি গাছ, লাল–সবুজের মিশেলে পাতার রং। লাল টুকটুকে ফুলও ফোটে। তবে সেই ফুল গাছটির কাছে যাওয়া ‘নিষেধ’। কারণটা বেশ অদ্ভুত। দেখতে আকর্ষণীয় হলেও এটি বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত ফুল গাছের তকমা পেয়েছে। গাছটির সংস্পর্শে গেলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এমনকি ফুল ও বীজ কোনো কারণে পেটে গেলে মৃত্যুও হতে পারে।

বিচিত্র এই ফুল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম রিসিনাস কমিউনিস (Ricinus Communis)। সাধারণ মানুষের কাছে এটি ‘ক্যাস্টর অয়েল প্ল্যান্ট’ নামে পরিচিত। সায়ানাইডে যে পরিমাণ বিষ রয়েছে, তার চেয়ে ছয় হাজার গুণ বেশি বিষাক্ত এই ফুল গাছ। গাছটির কাণ্ড, পাতা, ফুল—সবই বিষাক্ত উপাদানে ভরা।

রিসিনাস কমিউনিস বিষাক্ত হওয়ার কারণ রিসিন নামে একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এ ফুল গাছে প্রচুর পরিমাণে বিষাক্ত রিসিন রয়েছে। তাই গাছটিও বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। গাছ কিংবা এটির বীজ স্পর্শ করা, পরিচর্যার সময়ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হাতে গ্লাভস পরার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর সাধারণ মানুষকে গাছটির সংস্পর্শে যেতে নিষেধ করা হয়। শুধু ওষুধ উৎপাদনে ও চিকিৎসার প্রয়োজনে এই ফুল গাছ ব্যবহার করা হয়।

বিজ্ঞানীদের মতে, রিসিনাস কমিউনিসের বীজ অত্যধিক মাত্রায় বিষাক্ত। কোনো কারণে এর বীজ বা বীজের অংশ পেটে গেলে মানুষ ও বিভিন্ন প্রাণী অসুস্থ হয়ে পড়ে। মাত্র ১ থেকে ১০টি বীজ খাওয়ার কারণে মৃত্যুও হতে পারে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত’ ফুল গাছের স্বীকৃতি দিয়েছে। গিনেস বুকের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এটা এতটাই বিষাক্ত যে এই ফুলের প্রতি ৭০ মাইক্রোগ্রাম বীজ ৭২ বছর বয়সী একজন সুস্থ ও সবল মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের কলোউইন বে এলাকার কুইন্স গার্ডেন পার্কের বাগানে এই ফুল গাছ লাগানো হয়েছে। এরপর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে গাছটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় সব ধরনের সতর্কতা মেনে প্রদর্শনীর জন্য এই গাছ লাগানো হয়েছে।