অ্যাসাঞ্জের মামলার সুরাহা হওয়া উচিত: অস্ট্রেলিয়া

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
রয়টার্স। ফাইল ছবি

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে করা মামলা দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। এই মামলার একটি সুরাহা হওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন শহরে গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পেনি ওং।

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে কারাবন্দী। সেখান থেকে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করার চেষ্টা করছে মার্কিন সরকার। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর গোপন নথিপত্র ও কূটনৈতিক বার্তা ফাঁসের অভিযোগ ওঠে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর বিরুদ্ধে এ–সংক্রান্ত ১৮টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

শনিবারের সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর। সেখানে পেনি ওং বলেন, ‘অ্যাসাঞ্জের মামলাটি অনেক দিন ধরে ঝুলে রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, এই মামলার নিষ্পত্তি করা হবে।’

এদিকে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের আদালতে একাধিকবার আপিল আবেদন করেছেন অ্যাসাঞ্জ। এ নিয়ে পেনি ওং বলেন, ‘আমি জানি যে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে আপিল আবেদন করেছেন অ্যাসাঞ্জ। তবে অস্ট্রেলিয়া সরকার এই আইনি প্রক্রিয়ার অংশ নয়। আমাদের এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।’

এ সময় অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মারলেস, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন উপস্থিত ছিলেন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অ্যাসাঞ্জের মামলার বিষয়টি উঠেছিল বলে জানান ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, যে কাজের জন্য অ্যাসাঞ্জকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠার বড় ঝুঁকি রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের আগে অ্যাসাঞ্জের মুক্তির জন্য তৎপরতার সমর্থন দিয়ে আসছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। গত মে মাসে দেশটির প্রেসিডেন্ট অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছিলেন, অ্যাসাঞ্জের বন্দী থাকা নিয়ে তিনি ‘হতাশ’।