আমিরাতের নতুন প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নতুন প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান
ছবি: রয়টার্স

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান। দেশটির দীর্ঘ সময়ের ডি-ফ্যাক্টো এই শাসক আজ শনিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের মৃত্যুর এক দিন পরই তার স্থলাভিষিক্ত হলেন শেখ মোহাম্মদ। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এএফপি এ কথা জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএম জানায়, ফেডারেল সুপ্রিম কাউন্সিল কর্তৃক প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন শেখ মোহাম্মদ। ১৯৭১ সালে তাঁর বাবার প্রতিষ্ঠিত তেলসমৃদ্ধ দেশটির শাসক হলেন তিনি।

শেখ মোহাম্মদ ‘এমবিজেড’ হিসেবেও পরিচিত। ইউএই-এর সাতটি আমিরাতের (প্রদেশ) শাসকদের নিয়ে গঠিত ফেডারেল সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁর সৎভাই প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফার মৃত্যুতে দেশটিতে রাষ্ট্রীয় শোক চলছে।

শেখ মোহাম্মদই নতুন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন আগে থেকেই তা ধারণা করা হচ্ছিল। শেখ খলিফার অসুস্থতার কারণে এক কোটি মানুষের মরুভূমির দেশটি কয়েক বছর ধরে কার্যত তিনিই শাসন করছিলেন। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে শাসক হিসেবে শেখ মোহাম্মদ দায়িত্ব নিলেন।

আরব আমিরাত তাঁর দিকনির্দেশনায় মহাশূন্যে মানুষ পাঠিয়েছে, মঙ্গলে মিশন পরিচালনা করেছে এবং দেশটির প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করেছে। একই সঙ্গে শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণে দেশটির তেলসমৃদ্ধ অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

ঐতিহ্যবাহী শক্তিগুলো পিছু হটায় এবং যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের কিছুটা গুটিয়ে নেওয়ায় বদলে যাওয়া মধ্যপ্রাচ্যে নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ মিত্র শেখ মোহাম্মদ। তিনি ইসরায়েলে সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দেন।

আরও পড়ুন

আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা গতকাল শুক্রবার ইন্তেকাল করেন। ৭৩ বছর বয়সী শেখ খলিফা আবুধাবিরও শাসক ছিলেন। তিনি আমিরাতের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট। ২০০৪ সালের ৩ নভেম্বর থেকে প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি আবুধাবির শাসকের দায়িত্ব পালন করছিলেন শেখ খলিফা। ২০১৪ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তেমন জনসমক্ষে আসতেন না তিনি।