যুক্তরাষ্ট্র, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কো—এ চার দেশকে নিয়ে ঐতিহাসিক সম্মেলন আয়োজন করেছে ইসরায়েল। আগামী রবি ও সোমবার দুই দিনের এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিডের আমন্ত্রণে সম্মেলনে অংশ নিতে চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইসরায়েল সফর করবেন।
বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কো আব্রাহাম চুক্তির আওতায় ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। ওই চুক্তি সইয়ের পর দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার পথ সুগম হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা
অন্যদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মধ্যপ্রাচ্য সফর বিশেষ গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। তিনি ইসরায়েল ছাড়াও পশ্চিম তীর, মরক্কো ও আলজেরিয়া সফর করবেন।
ইসরায়েল সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজগ, প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিড ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজসের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে ব্লিঙ্কেনের। এ ছাড়া তিনি পৃথক বৈঠক করবেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতা মোহাম্মদ আব্বাস ও ইউএইর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদের সঙ্গেও।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত শিগগিরই তুরস্ক সফর করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। স্থানীয় সময় শুক্রবার ন্যাটোর সম্মেলন শেষে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস থেকে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন এরদোয়ান।
এরদোয়ান আরও বলেন, ‘তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে পারে জ্বালানি খাত বিশেষত প্রাকৃতিক গ্যাস নিয়ে সহযোগিতা। ইসরায়েলের সঙ্গে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপনে প্রস্তুত রয়েছে আঙ্কারা। আমি আশা করছি, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই তুরস্ক সফর করবেন। এ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের বন্ধুত্ব নতুন যুগে প্রবেশ করবে।’