যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি মেনে চলার আহ্বান নিরাপত্তা পরিষদের
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি মেনে চলতে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সংস্থাটি এ আহ্বান জানায়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদেশগুলো বলেছে, ফিলিস্তিনের জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে গাজায় অবিলম্বে মানবিক ত্রাণ পাঠানো প্রয়োজন। খবর এএফপির।
১০ মে থেকে গাজায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষের পর এই প্রথম জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এ বিবৃতি দিল।
ওই বিবৃতিতে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অব্যাহত সমর্থন ও ইসরায়েলি জনগোষ্ঠীর আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান। ইসরায়েলে কয়েক হাজার রকেট হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে সংঘাতের জন্য হামাসকে দায়ী করে ইসরায়েল।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, গাজায় পুনর্বাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হামাসের প্রতি নিন্দা জানাবে এবং তাদের নিরস্ত্র করার উদ্যোগ নেবে।’
জাতিসংঘের বিবৃতির পরে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ফিলিস্তিন।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল সব সময় ইসরায়েলকে জোরালোভাবে সমর্থন করে। মার্কিন প্রতিনিধিদল গাজায় অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ ও মানবিক ত্রাণ বিতরণের জন্য ফ্রান্সের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। চীন, নরওয়ে ও তিউনেসিয়ার প্রস্তাবিত চূড়ান্ত বিবৃতিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদেশগুলো গাজায় চলমান সহিংসতায় হতাহত ব্যক্তিদের প্রতি কেবল শোক জানিয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় পুনর্বাসন ও পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে গুতেরেসের এ আহ্বানের প্রতি সমর্থন জানানো হয়।
ওই বিবৃতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মিসর ও অন্যান্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ১১ দিন ধরে চলা সংঘর্ষে ২৪৮ জন ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। তাদের মধ্যে ৬৬ জন শিশু। ইসরায়েলে এক শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়েছে।
আগামী বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিয়মিত বৈঠকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
এএফপির সংবাদকর্মী জানিয়েছেন, গত শুক্রবার যুদ্ধবিরতি কার্যকরের এক দিন পরে গতকাল শনিবার গাজায় ত্রাণ সরবরাহে বাধা দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় কমপক্ষে ছয় হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।