গাজায় জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার ২৯ কর্মী নিহত
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাতে এ পর্যন্ত গাজায় জাতিসংঘের ২৯ কর্মী নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) গতকাল রোববার এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, ‘আমরা মর্মাহত, আমরা শোকের মধ্যে রয়েছি। ৭ অক্টোবর থেকে চলমান সংঘাতে গাজায় এ পর্যন্ত আমাদের ২৯ সহকর্মী নিহত হয়েছেন। এটা আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি।’
এর আগের দিন শনিবার ইউএনআরডব্লিউএ এক্সে দেওয়া আরেক পোস্টে জানিয়েছিল, ওই দিন পর্যন্ত তাদের ১৭ সহকর্মী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অর্ধেকই ইউএনআরডব্লিউএর শিক্ষক বলে জানানো হয়েছে।
৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। জবাবে ওই দিন থেকেই টানা বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের বাহিনী। এ হামলা থেকে বাঁচতে হাজার হাজার গাজাবাসী ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই নিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৬০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল গাজায় জ্বালানি, পানি, খাদ্য ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, তাদের পরিচালিত বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া ১২ জন বাস্তুচ্যুত মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ১৮০ জন। হামলায় ৩৮টি ইউএনআরডব্লিউএ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
পৃথক বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করে বলেছে, গাজায় তাদের জ্বালানি সরবরাহ ‘তিন দিনের মধ্যে’ শেষ হয়ে যাবে।
ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, জ্বালানি ছাড়া পানি থাকবে না। কোনো হাসপাতাল ও বেকারি ঠিকঠাক চলতে পারবে না। জ্বালানি ছাড়া অনেক বেসামরিক মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছানো যাবে না। তিনি আরও বলেন, জ্বালানি ছাড়া কোনো মানবিক সহায়তা হবে না।