গাজায় নিহত ১৯ হাজার ৫০০, শিশু ৭ হাজার ৭০০ ছাড়াল

ইসরায়েলি হামলায় নিহত শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে ফিলিস্তিনি নারীর কান্না। ১৪ ডিসেম্বর, রাফাহের নজর হাসপাতালেছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশুই ৭ হাজার ৭০০-এর বেশি। হামাস–নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মস্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় গাজায় মোট নিহত ১৯ হাজার ৪৫৩ জন। এর মধ্যে ৭ হাজার ৭২৯টি শিশু এবং ৫ হাজার ১৫৩ জন নারী।

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আহত হওয়ার সংখ্যা ৫২ হাজার ২৮৬। তাদের মধ্যে শিশু ৮ হাজার ৬৬৩টি এবং নারী ৬ হাজার ৩২৭ জন। এ ছাড়া গাজায় এখনো প্রায় আট হাজার মানুষ নিখোঁজ।

আরও পড়ুন

অন্যদিকে ৭ অক্টোবরের পর থেকে গতকাল পর্যন্ত অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের সময় ৩০১ জনের প্রাণ গেছে। এর মধ্যে ৭২টি শিশু। আহত ৩ হাজার ৩৬৫ জনের বেশি।

আরও পড়ুন

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে নিহত হন ১ হাজার ১৩৯ জন। আহত হওয়ার সংখ্যা ৮ হাজার ৭৩০। এ হিসাব ইসরায়েল সরকারের।

হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবরই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর দুই মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। মাঝে যুদ্ধবিরতির কয়েক দিন বাদে গাজায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলা থেকে মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আশ্রয়শিবির—কিছুই বাদ যায়নি।

আরও পড়ুন

অভিযানে বন্ধ হাসপাতাল

গাজার উত্তরাঞ্চলের কামাল আদওয়ান হাসপাতালে গত সপ্তাহে অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বহু বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। গাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুলডোজার দিয়ে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের অস্থায়ী আবাস গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাসের সদস্যরা আশ্রয়স্থল হিসেবে হাসপাতালটি ব্যবহার করছিলেন।

গাজায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কর্মকর্তা রিচার্ড পিপারকর্ন বলেন, ‘ইসরায়েলি অভিযানের পর হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা যতটুকু বুঝতে পারছি, হাসপাতালের কার্যক্রম আর কখনোই চালু হবে না।’

আরও পড়ুন

রিচার্ড পিপারকর্ন আরও জানান, সেখানে থাকা শিশুসহ রোগীদের অন্যান্য হাসপাতালে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে—এমনটাই মনে করছে ডব্লিউএইচও।

আরও পড়ুন