যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে সরছে না হামাস

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াফাইল ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনা আর চালাতে চায় না ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটির একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আজ রোববার এএফপিকে বলেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে তাঁদের প্রতিনিধিদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, কারণ ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেও গাজায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে এবং যুদ্ধবিরতির আলোচনায় তাদের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তবে পরে হামাসের আরেক কর্মকর্তারা বিবৃতিতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়।

হামাসের এক কর্মকর্তা বলেন, হামাসের রাজনৈতিক শাখার নেতা ইসমাইল হানিয়া আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। আলোচনা বন্ধ করার কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, দখলদার বাহিনী আলোচনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, এ ছাড়া আলোচনায় বিলম্ব ও বাধা অব্যাহত নীতি বজায় রেখেছে এবং একই সঙ্গে নিরস্ত্র বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, হামাস আলোচনা থেকে সরে যাচ্ছে না।  হামাসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সও একই তথ্য জানিয়েছে। হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য ইজ্জাত এল-রেশিকের বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে আরব মধ্যস্থতাকারীদের এবং যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টাকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করার অভিযোগও করেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা সিটিতে ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গতকাল সকালে গাজা সিটিতে হামলার ঘটনায় ১৭ জন নিহত ও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। শহরের বিভিন্ন এলাকায় চারটি বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের এ হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর আগে গত শনিবার ইসরায়েলি হামলায় ৯০ জন নিহত হন। গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটাই ছিল গাজায় বড় ধরনের হামলার ঘটনা। এ নিয়ে গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হজার ৫৮৪ জনে।

ইসরায়েলের দাবি, হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেয়িফকে লক্ষ্য করে তারা এ হামলা করেছে। তবে তিনি নিহত হয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত নয়। হামাস দাবি করেছে, তাদের নেতাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর এ দাবি মিথ্যা। তারা হামলার বৈধতা দিতে এ কথা বলেছে।