শিশুটির জন্ম হলো ৩৫ হাজার ফুট উঁচুতে

উড়োজাহাজ
প্রতীকী ছবি: এএফপি

জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে যাচ্ছিল উড়োজাহাজটি। গন্তব্যে পৌঁছাতে বিরতিহীন ফ্লাইটটির সময় লাগে ১২ ঘণ্টা। উড্ডয়নের একপর্যায়ে উড়োজাহাটি ছিল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ১০ কিলোমিটার উঁচুতে। এ সময় হঠাৎ এক যাত্রীর প্রসববেদনা ওঠে। পরে ওই নারী নিরাপদে একটি সন্তানের জন্ম দেন।

ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে। বিমান সংস্থাটির পক্ষ থেকে খালিজ টাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এমিরেটস জানিয়েছে, তাদের ইকে৩১৯ ফ্লাইটে ঘটনাটি ঘটে। যখন ওই শিশুর জন্ম হয়, তখন উড়োজাহাজটি সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ৩৫ হাজার ফুট বা সাড়ে ১০ কিলোমিটারের বেশি ওপর দিয়ে উড়ছিল।

ওই ফ্লাইটে থাকা কয়েজন যাত্রী খালিজ টাইমসকে জানান, ওই যাত্রীর প্রসববেদনা শুরু হলে একজন ক্রু দ্রুত এগিয়ে আসেন। দক্ষতার সঙ্গে তিনি সন্তান জন্মদানে ওই নারীকে সাহায্য করেন।

এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানায়, মাঝআকাশে সন্তান জন্ম দেওয়ার ওই ঘটনায় ফ্লাইটের গন্তব্যে পৌঁছাতে কোনো বাড়তি সময় লাগেনি। ওই নারী ও তাঁর নবজাতক সন্তান সুস্থ আছেন। সতর্কতার অংশ হিসেবে উড়োজাহাজ অবতরণের পর মা ও শিশুকে চিকিৎসা–সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর অন্তঃসত্ত্বা নারীদের উড়োজাহাজে উড্ডয়নের অনুমতি দেওয়া হয় না। তবে চিকিৎসা–সংক্রান্ত বিষয় ও জরুরি প্রয়োজনে এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে। তবে এ নারীকে কেন উড্ডয়নের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

উড্ডয়নকালে উড়োজাহাজে সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনা বিরল নয়। গত ডিসেম্বরে ইকুয়েডর থেকে নেদারল্যান্ডসগামী কেএলএম রয়্যাল

ডাচের ফ্লাইটে এক নারী সন্তান প্রসব করেন। এর আগে আগস্টে কুয়েতের এক নারী কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ফিলিপাইন যাওয়ার পথে সন্তান প্রসব করেন।