গাজা সিটির বাসিন্দাদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করল হামাস

ইসরায়েলের হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা গাজা সিটির একটি আশ্রয়শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছেনরয়টার্স ফাইল ছবি

গাজা সিটির বাসিন্দাদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে ইসরায়েলের পরিকল্পনা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তাদের দাবি, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ওই এলাকায় নতুন করে জাতিহত্যা (জেনোসাইড) শুরু হবে এবং অনেক মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। গতকাল রোববার এ কথা বলেছে হামাস।

ইসরায়েলি সেনারা বলেছেন, তাঁরা রোববার থেকে তাঁবু ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের যুদ্ধক্ষেত্রগুলো থেকে দক্ষিণাঞ্চলে সরানোর পরিকল্পনা মাথায় রেখে এমনটা করছেন তাঁরা। ইসরায়েলের দাবি, স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এমন পরিকল্পনা করেছে তারা।

হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মানবিকতার ছদ্মবেশে তাঁবু স্থাপন করাটা স্পষ্টত প্রতারণা। দখলদার বাহিনী যে নৃশংস অপরাধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তা ঢাকতে এমনটা করা হচ্ছে।’

ইসরায়েল চলতি মাসের শুরুতে বলেছে, তারা উত্তর গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নিতে নতুন অভিযান চালাবে। ওই শহরটি গাজার সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্র এবং সেখানে প্রায় ২২ লাখ মানুষের বসবাস।

ইসরায়েল চলতি মাসের শুরুতে বলেছে, তারা উত্তর গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নিতে নতুন অভিযান চালাবে। ওই শহরটি গাজার সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্র এবং সেখানে প্রায় ২২ লাখ মানুষের বসবাস। ইসরায়েলের এ পরিকল্পনা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুসারে, এ হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন। বন্দী করা হয় ২৫১ জনকে। এর মধ্যে এখনো ৫০ জন গাজায় জিম্মি আছেন। ধারণা করা হয়, এ ৫০ জনের মধ্যে জীবিত আছেন ২০ জন।

হামাসের হামলার জবাবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, হামলায় ৬১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার বেশির ভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

উপত্যকার একটা বড় অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজায় তীব্র খাদ্যসংকট চলছে।

আরও পড়ুন