জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে ইসরায়েলে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ

ইসরায়েলে গতকাল শনিবার রাতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেনছবি: রয়টার্স

জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার জন্য একটি চুক্তির দাবিতে গতকাল শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত ইসরায়েলে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন।

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আরও আলোচনার আগে ইসরায়েলে বড় ধরনের এই বিক্ষোভ হলো।

তেল আবিবে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধবিরোধী স্লোগান দেন। বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সংঘাত দীর্ঘায়িত করার জন্য অভিযুক্ত করেন।

গতকাল মিসরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের একটি প্রতিনিধিদল যুদ্ধবিরতির উদ্যোগের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এমন প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলে বিক্ষোভ হলো।

হামাস বলেছে, আলোচনায় এখন পর্যন্ত নতুন কোনো অগ্রগতি নেই। তবে আজ রোববার নতুন দফার আলোচনা শুরু হবে।

মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় আলোচকেরা কায়রোয় আবার আলোচনা শুরু করেছেন। জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ইসরায়েলের হামলা থামানো নিয়েই এ আলোচনা।

চুক্তিটি অস্থায়ী, নাকি স্থায়ী হবে, সে বিষয়ে সমঝোতা আটকে আছে বলে মনে হচ্ছে।
গতকাল ইসরায়েলে যে বিক্ষোভ হলো, তা ছিল একটি চুক্তির জন্য নেতানিয়াহু সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ বাড়তে থাকার সর্বশেষ নিদর্শন। জিম্মিদের ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনার জন্য চাপের মুখে আছেন নেতানিয়াহু।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েল হামলা চালায়। হামলাকালে তারা ২৫২ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। তাঁদের মধ্যে ১২৮ জন এখনো জিম্মি আছেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৩৪ জন মারা গেছেন বলে ধারণা করা হয়।

তেল আবিবে গতকালের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন নাটালি এলডোর নামের এক ইসরায়েলি। নাটালি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, তিনি একটি চুক্তি সমর্থনে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। জীবিত, মৃতসহ সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এই সরকার পরিবর্তন করতে হবে।

তেল আবিবের কিরিয়া সামরিক ঘাঁটিতে জড়ো হওয়া কিছু বিক্ষোভকারী প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিকে ক্ষুণ্ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে অভিযুক্ত করেন। এ ছাড়া অন্যরা যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানান।