ট্রাম্পের হুমকি নেতানিয়াহুকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনে উৎসাহিত করছে: হামাসের অভিযোগ

ড্রোনে তোলা বিধ্বস্ত গাজার দৃশ্য। উত্তর গাজার বাইত হানুন এলাকায়, ৫ মার্চ ২০২৫ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর্যুপরি হুমকি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করতে উৎসাহিত করছে বলে অভিযোগ করেছে হামাস। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক বার্তায় হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানৌয়া বলেন, ‘বাদবাকি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার সর্বোত্তম উপায় হলো যুদ্ধবিরতিকে দ্বিতীয় ধাপে নিয়ে যাওয়া। মধ্যস্থতাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতায় স্বাক্ষরিত চুক্তি মেনে চলতে (সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে) বাধ্য করা।’

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে মুক্তি পাওয়া কিছু ব্যক্তির সঙ্গে গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসে দেখা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর হামাসকে ‘শেষ বার্তা’ এবং ‘নরকের পরিণতি’ ভোগের হুমকি দিয়ে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘পরে নয়, সব জিম্মিকে এখনই মুক্তি দিতে হবে। মরদেহগুলোও ফেরত দিতে হবে। দর-কষাকষির সময় শেষ।’

হামাস নেতাদের উদ্দেশে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘(হামাস) নেতৃত্বকে বলছি, এখন গাজা ছেড়ে যাওয়ার সময়। এখনো তোমাদের জন্য সুযোগ রয়েছে।’

গাজায় থাকা জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ। ইসরায়েলের তেল আবিবে, ৬ মার্চ ২০২৫
ছবি: রয়টার্স

গাজার সাধারণ মানুষকে হুমকি দিয়ে ট্রাম্প লেখেন, ‘গাজার লোকজনকে বলছি, জিম্মিদের আটকে না রাখলে তোমাদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।’

ট্রাম্প এবারই হামাসকে প্রথম হুমকি দেননি। এর আগে গত ডিসেম্বরে তিনি বলেছেন, তাঁর অভিষেকের সময়ের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে হামাসকে ‘নরকের পরিণতি ভোগ করতে হবে’।

আরও পড়ুন

গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানের আগের দিন ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। চুক্তির চূড়ান্ত আলোচনায় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পাশাপাশি ট্রাম্পের দূতও অংশ নেন। প্রথম পর্যায় শেষ হওয়ার আগেই দ্বিতীয় পর্যায় চূড়ান্ত হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। প্রথম পর্যায় শেষ হয় গত শনিবার (১ মার্চ)।

১ মার্চ যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় শেষ হওয়ার পর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধ জারি করেছে ইসরায়েল। এতে যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে ওষুধ, খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। দ্বিতীয় দফার চুক্তি না করেই হামাসের হাতে থাকা বাকি জিম্মিদের মুক্তির দাবি করছে ইসরায়েল।

আরও পড়ুন