জিম্মি মুক্তি নিয়ে নতুন আলোচনার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কাছে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের মুক্ত করতে নতুন করে আলোচনা শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন ইঙ্গিত দেন।

এর আগে ইসরায়েলের গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ওই বৈঠকে যুদ্ধবিরতিসহ জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামাসের হাতে আটক থাকা শতাধিক জিম্মির মধ্যে তিনজনকে ভুল করে হত্যা করার এক দিন পর গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেন নেতানিয়াহু। সংবাদ সম্মেলনটি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়। সেখানে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজায় যে সংঘাত চলছে, তা তাঁদের অস্তিত্বের লড়াই। চাপ থাকা সত্ত্বেও বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, গাজায় কোনো সামরিক বাহিনী থাকবে না। তবে সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্ব ইসরায়েলের হাতে থাকবে।

আরও পড়ুন

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, শুক্রবার রাতে ইউরোপে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আবদুলরহমান আল থানির বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তিসংক্রান্ত চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এরপর নেতানিয়াহু জিম্মি মুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরুর ইঙ্গিত দিলেন। তবে বারনিয়া-আল থানির বৈঠকের ব্যাপারে করা প্রশ্ন পাশ কাটিয়ে যান তিনি; যদিও আলোচনাকারী দলের সদস্যদের নির্দেশনা দিচ্ছেন বলে জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।

নেতানিয়াহু দাবি করেন, গাজায় ইসরায়েলের চালানোর হামলার কারণেই নভেম্বরে কিছুসংখ্যক জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে চুক্তিটি সম্ভব হয়েছিল। গাজার শাসনক্ষমতায় থাকা হামাসের ওপর সামরিক চাপ জোরালো করার অঙ্গীকার করেন তিনি। হামাসকে ধ্বংস করে দেওয়ার অঙ্গীকারেরও কথা জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ চাপের ফল কী হতে পারে, তার ওপর ধারণা করেই আমি আলোচনাকারী দলকে নির্দেশনা দিচ্ছি। এ ছাড়া আমাদের হাতে আর অন্য উপায় নেই।’

নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘কাতারের ব্যাপারে আমাদের গুরুতর আপত্তি আছে...তবে এখন আমরা আমাদের জিম্মি মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে চাইছি।’

হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন একেবারে না থামলে বন্দিবিনিময়ের কোনো আলোচনায় যেতে তারা রাজি নয়।

আরও পড়ুন