ট্রাম্পপন্থী ইনফ্লুয়েন্সাররা ইসরায়েল সফরে যাবেন, খরচ জোগাবে নেতানিয়াহু সরকার

বছর শেষ হওয়ার আগেই ইসরায়েল সরকার ৫৫০ জন ইনফ্লুয়েন্সারকে দেশটিতে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছেপ্রতীকী ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল ইনফ্লুয়েন্সারদের একটি দল ইসরায়েল সফরে যাচ্ছে। এ সফরের খরচ জোগাবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম হারেৎজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দলে থাকছেন ১৬ তরুণ ইনফ্লুয়েন্সার। সবার বয়স ৩০ বছরের নিচে। তাঁরা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ ও ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ প্রচারণার সমর্থক।

এই ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাজার থেকে লাখো অনুসারী রয়েছেন। প্রতিবেদনে জানানো হয়, তরুণ মার্কিনদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন ক্রমেই কমছে—দেশটির সরকারের এমন ধারণার পরিপ্রেক্ষিতে এই ১৬ ইনফ্লুয়েন্সারকে তেল আবিব সফরে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।

তবে কবে নাগাদ সফরটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে প্রতিবেদনে কিছু জানানো হয়নি। সম্ভাব্য কোনো তারিখও উল্লেখ করা হয়নি।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি বিভাগের জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক ইয়াকভ লিভনের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ ও ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ প্রচারণার উত্থানের প্রেক্ষাপটে এর সমর্থকদের ইসরায়েলপন্থী অবস্থানে আনাটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাজার থেকে লাখো অনুসারী রয়েছেন। হারেৎজ পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, তরুণ মার্কিনদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন ক্রমেই কমছে—দেশটির সরকারের এমন ধারণার পরিপ্রেক্ষিতে এই ১৬ ইনফ্লুয়েন্সারকে তেল আবিব সফরে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এমন সফরের আওতায় বছর শেষ হওয়ার আগেই ইসরায়েল সরকার ৫৫০ ইনফ্লুয়েন্সারকে দেশটিতে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছে।

প্রবীণ রিপাবলিকান ও রক্ষণশীল মার্কিনদের মধ্যে এখনো ইসরায়েলপন্থী মনোভাব বিদ্যমান রয়েছে। যদিও ইসরায়েল সম্পর্কে মার্কিন তরুণদের মধ্যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ক্রমেই কমছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সফরে আমন্ত্রণ জানানো মার্কিন ইনফ্লুয়েন্সারদের ফিলিস্তিন বিষয়ে ইসরায়েলি নীতির পক্ষে প্রচার চালানোর আহ্বান জানানো হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলেছে, ‘আমরা কখনো কখনো ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে, আবার কখনো তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কাজ করি। তাঁদের সবারই বিপুলসংখ্যক অনুসারীর নেটওয়ার্ক আছে। মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি আসা কোনো বার্তার চেয়ে এসব ইনফ্লুয়েন্সারের প্রচারিত বার্তা অনেক বেশি প্রভাব রাখতে সক্ষম।’

‘ইসরায়েল৩৬৫’ নামের একটি সংগঠনের মাধ্যমে ইনফ্লুয়েন্সারদের এ সফর পরিচালিত হবে। হারেৎজের প্রতিবেদনে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ইসরায়েলের এই সংস্থা ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ ও ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ প্রচারণার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইসরায়েলপন্থী অবস্থান তুলে ধরার ক্ষেত্রে এক ‘অনন্য’ অবস্থানে রয়েছে।

মার্কিন ইনফ্লুয়েন্সারদের এ সফরের জন্য ওই সংস্থার সঙ্গে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রায় ৮৬ হাজার ডলারের একটি চুক্তি করেছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি

আরও পড়ুন