জেরুজালেমে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
ইসরায়েলের জেরুজালেমে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন।
সামরিক বাহিনীতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যোগদানের বাধ্যবাধকতা থেকে আল্ট্রা-অর্থোডক্স ইহুদি পুরুষদের অব্যাহতি দেওয়ার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদী বিক্ষোভ হয়েছে।
কয়েকটি বিক্ষোভকারী সংগঠন গতকাল ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটের সামনে বিক্ষোভের আয়োজন করে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে ইসরায়েলে গণবিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী কয়েকটি সংগঠনও আছে।
গতকালের এই বিক্ষোভে নতুন সরকার গঠনের জন্য নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানানো হয়।
বিধি অনুযায়ী বেশির ভাগ ইসরায়েলি নাগরিককে নির্দিষ্ট মেয়াদে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে হয়। এই বোঝার অধিকতর ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিতের দাবি জানানো হয় বিক্ষোভে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে এটি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীতে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা।
ইসরায়েলের এন টুয়েলভ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলে হওয়া সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের ঘটনা এটি।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ ও ওয়াইনেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভে অংশ নিতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। ২৫০ জনের বেশি ব্যক্তি জিম্মি হয়। এই হামলার ঘটনার পর ইসরায়েলের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নুরিত রবিনসন নামের ৭৪ বছর বয়সী এক ইসরায়েলি বলেন, এ সরকার একেবারে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। তারা ইসরায়েলিদের অতলগহ্বরে নিয়ে যাবে।
বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি পতাকা উড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘এখনই নির্বাচনের আয়োজন করুন।’
জেরুজালেমে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, কোনো একটি সমাধানে পৌঁছার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
নেতানিয়াহু আরও বলেন, যুদ্ধের এই পর্যায়ে ইসরায়েল যখন জয়ের খুব কাছে, তখন নির্বাচন আয়োজন করা হলে তা দেশকে কয়েক মাসের জন্য পঙ্গু করে দেবে।
গতকাল তেল আবিবেও বিক্ষোভ হয়। গাজায় হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের কয়েকজনের পরিবার তেল আবিবের একটি প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এই বিক্ষোভে অন্যরাও অংশ নেয়। তারা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে নেতানিয়াহু সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়।