সিরিয়ার কুখ্যাত সেদনায়া কারাগারে তল্লাশি, পাওয়া গেল ১৫টি মৃতদেহ
সিরিয়ার কুখ্যাত সেদনায়া কারাগারে ১৫ জন বেসামরিক নাগরিকের মরদেহ পাওয়া গেছে।
কারাগারটিতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে উদ্ধারকারীরা মরদেহগুলোর সন্ধান পায় বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।
সংস্থাটি বলছে, ‘নৃশংসভাবে নির্যাতনের’ পর এই ১৫ ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে।
সরকারবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর ঝোড়ো অভিযান চালিয়ে গত রোববার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয়। বিদ্রোহীদের মাত্র ১২ দিনের অভিযানে সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন ঘটে। তিনি দেশ ছেড়ে পালান। বিদ্রোহীদের এই অভিযানে নেতৃত্ব দেয় হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)।
সিরিয়ান অবজারভেটরি বলেছে, তারা ২০২৪ সালের শুরু থেকে সিরিয়ার সরকারি কারাগারগুলোতে নির্যাতনসহ পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে মারা যাওয়া ৬৯ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত করেছে।
বাশার আল-আসাদের আমলে নিখোঁজ হওয়া প্রিয়জনের খোঁজে সিরীয় নাগরিকেরা এখন দেশটির বিভিন্ন কারাগারে ভিড় জমাচ্ছেন। এমন প্রেক্ষাপটে কুখ্যাত সেদনায়া কারাগার থেকে ১৫টি মরদেহ উদ্ধার হলো।
সাইদনায়া কারাগারটি দামেস্কের উত্তরে অবস্থিত। বাশার আল-আসাদ সরকারের নৃশংসতার সাক্ষী হয়ে আছে এই কারাগার। এখানে হাজারো সিরীয় নাগরিককে বন্দী করে রেখেছিল বাশার আল-আসাদ সরকার। বাশার আল-আসাদের শাসনামলে বন্দী হওয়া মানুষদের খুঁজে পাওয়ার আশা নিয়ে স্বজনেরা এখানে ভিড় করছেন।
বাশার আল-আসাদের পতনের পর সেদনায়া কারাগারে সিরীয় অধিকারকর্মী মাজেন আল হামাদার মৃতদেহ পাওয়ার কথা জানায় তাঁর পরিবার।