গাজায় অভিযান নিয়ে ইসরায়েলি মন্ত্রীদের সঙ্গে সেনাপ্রধানের বাগ্‌বিতণ্ডা

ফিলিস্তিনের গাজায় ট্যাংক নিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের অবস্থানফাইল ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজা নগরীতে অভিযান চালানো নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর মন্ত্রীদের সঙ্গে সেনাপ্রধানের তীব্র বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে। গত রোববার রাতে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বৈঠকে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
বৈঠকে ইসরায়েলের মন্ত্রীরা গাজা নগরীতে অভিযান জোরদার করতে চাপ দেন। তবে সেনাপ্রধান এয়ার জামির এর বিরোধিতা করে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

বৈঠকে উপস্থিত অন্তত চারজন মন্ত্রী ও দুজন সামরিক কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানা গেছে। বৈঠকে ইসরায়েলের সেনাপ্রধান বলেন, গাজা নগরীতে এই মুহূর্তে অভিযান চালালে জিম্মিদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে। ইতিমধ্যে চাপে থাকা সেনাবাহিনীর ওপর তা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।

এর আগেও সেনাপ্রধান ও নেতানিয়াহুর মন্ত্রীদের বেশ কয়েক দফা উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছিল। নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র ও ইসরায়েলের একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০ আগস্ট নেতানিয়াহু বলেছিলেন, তিনি দ্রুত গাজা নগরী দখলের সময়সূচি তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। পরদিনই সেনাবাহিনী সতর্ক করে জানায়, এতে জিম্মিদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়বে। অন্তত দুই মাসের আগে তারা এই অভিযান শুরু করতে পারবে না।

সেনাবাহিনীর প্রধান যুক্তি ছিল, গাজায় মানবিক সহায়তার জন্য আরও সময় প্রয়োজন। তবে জরিপে দেখা গেছে, রিজার্ভ সেনাসদস্যদের একটি অংশ মন্ত্রিসভার পরিকল্পনা নিয়ে অসন্তুষ্ট। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ প্রকাশ্যে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁরা বলেছেন, গাজা নিয়ে সরকারের কোনো সমন্বিত কৌশল, যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা কিংবা সুস্পষ্ট বিজয়ের লক্ষ্য নেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় দায়িত্ব পালন করা ইসরায়েলের একজন রিজার্ভ সেনা বলেন, ‘আমার মনে হয় না আমি এমন কিছু করছি, যা হামাসকে জিম্মিদের মুক্তি দিতে সত্যিকারের চাপ সৃষ্টি করছে।’