গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে কায়রোয় হামাসপ্রধান

হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াফাইল ছবি: রয়টার্স

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে মিসর সফরে গেছেন ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটির শাসকগোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। আজ মঙ্গলবার ইসমাইল হানিয়া মিসরের রাজধানী কায়রো পৌঁছান বলে জানিয়েছে হামাস।

হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসমাইল হানিয়ার নেতৃত্বে হামাসের একটি প্রতিনিধিদল মিসর সফরে গেছে। গাজায় আগ্রাসন বন্ধ, গাজার বাসিন্দাদের ত্রাণসহায়তা দেওয়া ও ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য অর্জনের বিষয়ে মিসরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তাঁরা।

গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতায় নেতৃত্ব দিচ্ছে কাতার। দেশটির সঙ্গে মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রও আছে। কয়েক দিন আগে কাতারের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু ঘটছে না বলার পর কায়রো সফরে গেলেন হামাসপ্রধান।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে সাম্প্রতিক সময়ে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়। এরপর গত শনিবার কাতারের প্রধানমন্ত্রী আবদুলরহমান আল-থানি বলেন, গত কয়েক দিনের আলোচনা থেকে আশান্বিত হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

গাজায় ‘সাময়িক যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপনের জন্য একটি খসড়া প্রস্তাব প্রস্তুত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ প্রস্তাবে গাজায় যত দ্রুত সম্ভব সাময়িক যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, গাজার দক্ষিণের শহর রাফায় ইসরায়েলের সম্ভাব্য স্থল অভিযানের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন।

দুই সপ্তাহ আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যদেশ আলজেরিয়া অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে প্রাথমিক খসড়া প্রস্তাব দেয়। এই খসড়া প্রস্তাবের ওপর গতকাল ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল।

এর আগে ইসরায়েলের বিপক্ষে আনা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের খসড়া প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র।

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও অন্তত ১০৩ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত সাড়ে চার মাসে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় ২৯ হাজার ১৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত হলেন।

এদিকে রমজান মাসে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকাল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এ ঘোষণা দেয়। তবে বিধিনিষেধগুলো কী হবে, এ বিষয়ে ইসরায়েল বিস্তারিত কিছু জানায়নি।