গাজা ও ইসরায়েলে যুদ্ধাপরাধের আলামত পরীক্ষায় আইসিসিকে সহযোগিতা করেছেন ক্লুনি

মানবাধিকার আইনজীবী অমল ক্লুনিছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

গাজা উপত্যকা ও ইসরায়েলে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের আলামত পরীক্ষায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) সহযোগিতা করেছেন মানবাধিকার আইনজীবী অমল ক্লুনি। এর ভিত্তিতেই ইসরায়েলি ও হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে অমল ক্লুনি এসব কথা বলেছেন।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও শীর্ষ হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে আইসিসিতে করিম খানের আবেদনের দিনই বিবৃতিটি দিয়েছেন ক্লুনি। গতকাল সোমবার আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আর হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন।

আরও পড়ুন

গতকাল ক্লুনি বলেন, করিম খানের অনুরোধে তিনি ইসরায়েল ও গাজায় যুদ্ধাপরাধের আলামত মূল্যায়নসংক্রান্ত একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলে ছিলেন।

ক্লুনি আরও বলেন, ‘আমরা ব্যক্তিগতভাবে ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে এলেও আইনগতভাবে যে তথ্যগুলো পেয়েছি, সেগুলোর ব্যাপারে আমরা সবাই একমত।’

লেবাননের বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ব্যারিস্টার অমল ক্লুনি তাঁর প্রতিষ্ঠান ক্লুনি ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিসের ওয়েবসাইটে বিবৃতিটি দিয়েছেন। বিশ্বজুড়ে অসহায় মানুষদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অভিনেতা স্বামী জর্জ ক্লুনির সঙ্গে যৌথভাবে এ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন অমল ক্লুনি। গাজা উপত্যকায় বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় সোচ্চার না হওয়ায় অতীতে ক্লুনি এবং তাঁর ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সমালোচনা হয়েছিল।

আরও পড়ুন

গতকালের বিবৃতিতে ক্লুনি বলেন, হামাসের ইয়াহিয়া সিনওয়ার, মোহাম্মদ দেইফ ও ইসমাইল হানিয়া ‘জিম্মি আদান-প্রদান, হত্যাকাণ্ড এবং যৌন নিপীড়নের অপরাধে’ জড়িত ছিলেন।

ক্লুনি বলেন, একইভাবে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টও যুদ্ধ চালিয়ে মানুষকে ক্ষুধা, নিপীড়ন ও মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য দায়ী।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দেওয়া বিবৃতিতে ক্লুনির প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন করিম খান।

এ সংঘাতের ঘটনায় আইসিসির বিচারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ক্লুনি এবং ওই বিশেষজ্ঞ প্যানেলের অন্য সদস্যরা একটি মন্তব্য প্রতিবেদন লিখেছেন। এটি গতকাল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশ করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা লিখেছেন, তাঁরা সর্বসম্মত হয়েছেন যে কৌঁসুলির কাজটি যথাযথ ও ন্যায্য এবং এর আইনি ও তথ্যগত ভিত্তি আছে।

হামাস, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ মিত্ররা পদক্ষেপটির নিন্দা জানিয়েছেন।