জন্মের পরই মানবেতর জীবন

যুদ্ধের সময় জন্ম হওয়া দুই যমজকে নিয়ে তাঁবুতে এক মাছবি: রয়টার্স

আলমা ও সালমা যমজ বোন। বয়স সবে এক মাসে গড়িয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার ভুক্তভোগী এই দুই শিশু। তাদের রাখা হয়েছে আশ্রয়শিবিরের তাঁবুর নিচে। চরম দুর্দশার মধ্যে নোংরা পরিবেশে সেখানেই বেড়ে উঠছে তারা।

যে আশ্রয়শিবিরে যমজ দুই বোনের জন্ম, সেটি মিসর সীমান্তের কাছে, রাফাহ এলাকায়। সেখানে না আছে খাবার, না আছে পানি। শিশু দুটি বুকের দুধও পাচ্ছে না। কারণ, পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে দুধ আসছে না তাদের মায়ের বুকে। আর পানি না থাকায় জন্মের পর থেকে গোসল দেওয়াও হয়নি তাদের।

আলমা ও সালমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই দাদি উম মোহাম্মাদ আল-জাবদার। প্রতিদিন তিনি পানির খোঁজে ছুটে বেড়ান যেন নাতনিদের বোতলের দুধ বানিয়ে খাওয়াতে পারেন। এই নারী জানালেন, ইসরায়েলের নৃশংসতার মধ্যে তাঁর পরিবারে মোট চার শিশুর জন্ম হয়েছে। তাদের সবাইকে নিয়ে সংগ্রাম করছে পুরো পরিবার।

শুধু আলমা ও সালমা নয়, দুর্দশায় আছে গাজায় চলমান সহিংসতার মধ্যে বাস্তুচ্যুত হওয়ার পরিবারগুলোতে জন্ম নেওয়া সব শিশু। ইসরায়েলের হামলা আর হুমকির মধ্যে উপত্যকাটির এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের পরিবার। জাতিসংঘের হিসাবে, গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার ৯০ শতাংশই ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৭ হাজার ৭০০-এর বেশি শিশু।