ইরানের সঙ্গে সংঘাত শেষ করতে চায় ইসরায়েল, তবে তা নির্ভর করছে তেহরানের ওপর

ইরানের হামলায় ধ্বংসস্তূপে রূপ নিয়েছে ইসরায়েলের তেল আবিবের ভবন। সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন দেশটির উদ্ধারকর্মী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ২২ জুন ২০২৫ছবি: রয়টার্স

শিগগির ইরানে হামলা গুটিয়ে আনার পথ খুঁজছে ইসরায়েল। এই বার্তা ইসরায়েল ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে পৌঁছে দিয়েছে। ইসরায়েলের তিনজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তবে ইসরায়েল এই হামলা অচিরেই বন্ধ করে পাল্টা হামলা থেকে রেহাই পাবে কি না, সেটা অনেকাংশে ইরানের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করছে।

অপর দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের নেতারা চলমান এই সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার সুনির্দিষ্ট কৌশল বের করার চেষ্টা করছেন। যাতে ইরানে ইসরায়েলের হামলা বন্ধের পাশাপাশি ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা বন্ধ হয়। ইরানের পাল্টা হামলায় ইতিমধ্যে ইসরায়েলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

ইসরায়েলি নেতাদের এই অবস্থান সম্পর্কে অবগত অপর এটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানে তাদের লক্ষ্য অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েল তার ইচ্ছেমতো ইরানে আকস্মিক হামলা চালিয়েছে। কিন্তু এই সংঘাত কখন শেষ হবে, সেটা তাদের হাতে নেই। তেহরান এই লড়াই চালিয়ে যেতে চাইলে ইসরায়েলের চড়া মূল্য দেওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে হবে।

১৩ জুন ভোররাতে ইরানে হামলা চালিয়ে দেশটির সেনাপ্রধানসহ ২০ জনের বেশি ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা এবং বেশ কয়েকজন পরমাণুবিজ্ঞানীকে হত্যা করে ইসরায়েল। সেই সঙ্গে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে দেশটির একাধিক পারমাণিবক স্থাপনা এবং ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আসছে।

এর মধ্যে শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালানোয় ইসরায়েল উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পায়। এই হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সাংবাদিকদের বলেন, ইসরায়েল তার লক্ষ্য অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে এবং এই অভিযান দীর্ঘমেয়াদি করার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই।

এরপর রবি ও সোমবার ইরান ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এসব ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু আকাশেই ধ্বংস করতে পারলেও বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আঘাত হানে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে লাখ লাখ ইসরায়েলিকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হচ্ছে।