যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদল, নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস

গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাসের দিন আজ সোমবার পরিষদের সদস্যরা নীরবে দাঁড়িয়ে মস্কোয় সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। আজ সোমবার এ প্রস্তাব পাস হয়। আগের অবস্থান বদলে আজকের প্রস্তাবে ভেটো দেওয়া থেকে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র।

পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে এই প্রথম নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস হলো। যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি অবিলম্বে ও নিঃশর্তে হামাসের হাতে জিম্মি দশায় থাকা ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে এ প্রস্তাবে।

গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর সেদিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় তাদের হামলায় ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাসের চেষ্টা আগেও কয়েক দফায় হয়েছে। প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগের কারণে সেগুলো আটকে যায়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। তবে সেই প্রস্তাবে ইসরায়েলের পক্ষে যায় উল্লেখ করে তাতে ভেটো দেয় রাশিয়া ও চীন। এরপর এই প্রথম জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পর্ষদ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির আহ্বান–সংবলিত প্রস্তাব পাস হলো।

নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী ১০টি সদস্যদেশ আজ প্রস্তাবটি তুলেছিল। দেশগুলো হল আলজেরিয়া, সিয়েরা লিওন, মোজাব্বিক, কোরিয়া, জাপান, স্লোভেনিয়া, গায়ানা, ইকুয়েডর, মাল্টা ও সুইজারল্যান্ড। প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ১৫ সদস্যের (৫ স্থায়ী ও ১০ অস্থায়ী সদস্য) নিরাপত্তা পরিষদের বাকি সব সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী অপর চার সদস্য দেশ হল চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য।

যুক্তরাষ্ট্রের আজকের অবস্থান গাজায় হামলা নিয়ে ইসরায়েলের অবস্থানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের মতভিন্নতার বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। গাজায় প্রাণহানি নিয়ে কিছুদিন ধরে ইসরায়েলের সমালোচনা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য সম্প্রতি ইসরায়েলসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।