হামাস রাজি হলে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেবে ইসরায়েল, আশা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদের মুখপাত্র জন কারবিছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপদেষ্টা জন কারবি বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইসরায়েল রাজি হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী। গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস এ প্রস্তাব মেনে নিলে উপত্যকাটিতে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

স্থানীয় সময় রোববার সকালে এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জন কারবি এ কথা বলেন। হামাসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক সাড়া দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে যত দ্রুত সম্ভব দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে সম্মত হবে।

জন কারবি আরও বলেন, ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রথম দফায় দুই পক্ষ বৈঠকে বসবে। এ সময় তারা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে যে দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি কেমন হবে এবং তা কখন থেকে শুরু করা যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহে গাজায় তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজা উপত্যকায় মানবিক ত্রাণসহায়তা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতির সময় কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী থাকা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

তবে ইসরায়েল সরকারের বেশ কয়েকজন সদস্য যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মটরিচ ও জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বলেছেন, হামাসকে নির্মূল করার আগে গোষ্ঠীটির সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি সইয়ের বিরোধী তাঁরা।

গাজার রাফায় কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার গোটা বিশ্ব। এর মধ্যেই গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, রাফার ৩৬টি আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দাদের চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এতে আশ্রয়শিবিরগুলো এখন খালি।