গাজায় ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে ফিলিস্তিনিদের হত্যার ঘটনায় স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জাতিসংঘের
গাজায় একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে ফিলিস্তিনিদের হত্যার ঘটনায় স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
গত রোববার গাজার দক্ষিণের শহর রাফায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে ফিলিস্তিনিরা একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে অপেক্ষা করার সময় ইসরায়েলি বাহিনী ভিড় লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে ওই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
রেডক্রস বলেছে, হতাহত ১৭৯ জনকে তাদের হাসপাতালে আনা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২১ জন মারা গেছেন।
গাজার বেসামরিক নিরাপত্তা সংস্থা এ ঘটনায় ৩১ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রোববারই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তাদের সেনারা ওই স্থানের আশপাশে বা ভেতরে কোনো বেসামরিক মানুষের ওপর গুলি চালাননি। এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো মিথ্যা।
জিএইচএফ হামলার অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেছে, তাদের স্থাপনা বা আশপাশে হামলার কোনো প্রমাণ তারা এখনো দেখেনি।
ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোকে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয় না। ফলে সেখানে কী ঘটছে, তা যাচাই করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গাজায় রোববার ত্রাণ নিতে গিয়ে ফিলিস্তিনিদের নিহত ও আহত হওয়ার যে খবর পাওয়া গেছে, তাতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমি এ ঘটনার একটি দ্রুত ও স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি এবং যারা এ ঘটনায় দায়ী, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি করছি।’
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জাতিসংঘ মহাসচিবের বক্তব্যকে ‘অপমানজনক’ বলেছে। হামাসকে নিয়ে কোনো কথা না বলায় গুতেরেসের সমালোচনাও করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ফলকার টুর্ক বিবিসিকে বলেছেন, এখন যেভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে, তা ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং ‘অমানবিক’।