ইয়েমেনে হামলা নিয়ে কী বলছে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য ও হুতিরা

লোহিত সাগরে একটি পণ্যবাহী জাহাজের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে হুতি বিদ্রোহীদের একটি হেলিকপ্টারছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

ইয়েমেনের কয়েকটি শহরে শুক্রবার ভোরে হামলা হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির হুতি বিদ্রোহীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে হুতি কর্মকর্তা আবদুল কাদের আল-মোরতাদা এ কথা জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য হুতি বিদ্রোহীদের ব্যবহৃত এলাকাগুলোতে হামলা চালিয়েছে।

হুতি কর্মকর্তা আবদুল কাদের আল-মোরতাদা এক্স অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘মার্কিন-জায়নবাদী-ব্রিটিশ আগ্রাসনকারীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা, হোদেইদাহ গভর্নরেট, সাদা ও ধামারে হামলা চালিয়েছে।’

হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় চলাচলকারী জাহাজের ওপর হুতিদের হামলার জবাবে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

বাইডেনের দাবি, হুতিদের হামলার কারণে মার্কিন কর্মকর্তা, বেসামরিক নাবিক ও আমাদের সহযোগীদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। বাণিজ্য ও জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতাও হুমকিতে পড়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, মানুষের সুরক্ষা ও বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে আরও কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিতে তিনি ‘দ্বিধা’ করবেন না।

এদিকে কয়েক মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, ইয়েমেনে হুতিদের সামরিক শক্তির জায়গাগুলো লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য হামলা চালিয়েছে। এ ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী স্থানগুলোতে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বর্তমানে হুতিদের কর্মকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্র ও গোটা বিশ্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের এক বিবৃতির বরাতে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশি জাহাজ লক্ষ্য করে ইরান-সমর্থিত হুতিদের রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার সক্ষমতাকে খর্ব করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে। বিবৃতিতে অস্টিন বলেন, হুতিদের মানুষবিহীন আকাশযান, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, উপকূলীয় রাডার ও বিমান নজরদারি সক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত স্থানগুলো এ হামলার লক্ষ্যবস্তু।

অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘লোহিত সাগরে উত্তেজনা নিরসন ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করাই আমাদের লক্ষ্য। তবে আমরা এটাও স্পষ্ট করতে চাই যে আমরা জীবন রক্ষা করতে সবকিছু করব। ক্রমাগত হুমকির মুখে বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্যপথে অবাধে বাণিজ্য বজায় রাখতে সবকিছু করব।’

এক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ আরও ১০ দেশ দক্ষিণ লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে আবারও হামলা চালালে পরিণতি ভোগ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। গত মঙ্গলবার রাতে হুতিরা আবার হামলা চালায়।