গাজায় যুদ্ধবিরতির পরই ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩২

গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে রাফাহ শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি হামলার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ছবি: রয়টার্স

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

আজ শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরার বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

সাত দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরপরই আজ গাজায় হামলা চালানোর ঘোষণা দেয় ইসরায়েল।

হামাস ও ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর তৎপরতা চলার মধ্যেই এ হামলা হয়।

আরও পড়ুন

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আজ বলেছেন, যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুসারে হামাস নতুন করে কোনো জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়নি।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে অভিযোগ করা হয়, যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী সব নারী জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও হামাস তা করেনি। তারা ইসরায়েলে রকেট হামলাও চালিয়েছে।

কার্যালয় থেকে আরও বলা হয়, আবারও লড়াই শুরু করার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল সরকার এ যুদ্ধের লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে চায়। আর তা হলো—জিম্মিদের মুক্ত করা, হামাসকে নির্মূল করা এবং গাজা যেন ইসরায়েলের বাসিন্দাদের জন্য হুমকি তৈরি না করতে পারে, তা নিশ্চিত করা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলের ভাষ্যমতে, হামাসের এ হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে হামাস। জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পাশাপাশি তারা গাজায় স্থল অভিযানও চালাতে থাকে।

গাজা সরকারের তথ্যানুযায়ী, অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাঁদের বেশির ভাগই বেসামরিক লোকজন।

গাজায় ইসরায়েলের টানা ৫১ দিনের হামলার পর গত ২৪ নভেম্বর চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দুই দফায় বাড়ানো হয় সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ। সাত দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরপরই আজ গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরু হয়।