গাজা এখন বসবাসের অযোগ্য: জাতিসংঘ

ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় বিধ্বস্ত কয়েকটি ভবন। জাবালিয়া, উত্তর গাজাছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার তিন মাস পূরণ হচ্ছে আগামীকাল রোববার। গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ধ্বংসযজ্ঞ ও রক্তক্ষয়ের জেরে উপত্যকাটি এখন ‘বসবাসের অযোগ্য’ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ সংঘাতের সবচেয়ে বড় মূল্যটা দিতে হচ্ছে সেখানকার বেসামরিক বাসিন্দাদের।

ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজার বেশির ভাগ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। খাবারের তীব্র সংকটে দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি। ছড়িয়ে পড়ছে রোগবালাই। এতে উপত্যকাটিতে মানবিক সংকট আরও গভীর হতে পারে আশঙ্কা জাতিসংঘের। সব মিলিয়ে জাতিসংঘের ত্রাণসহায়তাবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস গতকাল শুক্রবার বলেছেন, ‘গাজা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে’।

অপর দিকে জাতিসংঘ শিশু তহবিল—ইউনিসেফ সতর্ক করে বলেছে, সংঘাত, অপুষ্টি ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতির জেরে গাজায় এমন একটি ‘প্রাণঘাতী চক্র’ সৃষ্টি হয়েছে যে উপত্যকাটির ১১ লাখের বেশি শিশু হুমকির মুখে পড়েছে।

গাজায় নারকীয় বোমা হামলার মধ্যে উত্তরাঞ্চল থেকেই প্রথম স্থল অভিযান শুরু করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। পরে তা দক্ষিণে সম্প্রসারিত হয়। দক্ষিণে সবচেয়ে বেশি হামলার শিকার হচ্ছে খান ইউনিস এলাকা। আজ শনিবার ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় খান ইউনিসে আকাশপথে হামলা চালিয়ে ‘বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে হত্যা এবং তাদের সুড়ঙ্গ ধ্বংস’ করা হয়েছে।

আজ উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের হামলায় ১২২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৫৬ জন। এ নিয়ে সংঘাতের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ২২ হাজার ৭২২ জনের মৃত্যু হলো। একই সময়ে আহত হয়েছেন ৫৮ হাজার ১৬৬ জন। নিখোঁজ আরও ৭ হাজার। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।