ইরানের ইস্পাহান শহর নিয়ে যে কয়েকটি বিষয় জানার আছে

ইস্পাহান শহরে নকশ-ই জাহান স্কয়ারের অবস্থানছবি: এএফপি ফাইল ছবি

সম্প্রতি ইরানে হামলা হওয়ার পর থেকে দেশটির ইস্পাহান শহর নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। সাফাভি রাজবংশের শাসনামলে এ শহরটি পারস্য সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতেও ইস্পাহানে ইরানি সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন একটি সামরিক কারখানায় কয়েকটি ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছিল। ইরানের প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্র নাতাঞ্জের অবস্থান এ ইস্পাহান শহরে।

এ ইস্পাহান শহর নিয়ে যে কয়েকটি বিষয় জানার আছে:

১৫৯৮ থেকে ১৭৩৬ সাল পর্যন্ত সাফাভি রাজবংশের শাসনামলে ইস্পাহান রাজধানী শহর ছিল। শাহ আব্বাস এটিকে রাজধানীতে পরিণত করেছিলেন। সপ্তদশ শতাব্দীতে শহরটিতে সংস্কার করা হয় এবং এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহরগুলোর একটি হয়ে ওঠে।

ইস্পাহান শহরে প্রায় ২২ লাখ মানুষের বসবাস। এটি ইরানের তৃতীয় সর্বোচ্চ জনবহুল শহর। অপর দুই জনবহুল শহর হলো বর্তমান রাজধানী তেহরান ও মাশহাদ।

আরও পড়ুন

আবার বৃহত্তর ইস্পাহান প্রদেশের জনসংখ্যা ৪০ লাখ। সেদিক থেকে এটি আধুনিক ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেট্রোপলিটন এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়।

ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের এলাকা নকশ-ই জাহান স্কয়ারের অবস্থান ইস্পাহানে। ১৫৯৮ থেকে ১৬২৯ সালের মধ্যে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাচীন স্কয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এর পরেই গ্র্যান্ড বাজার অবস্থিত। এটি মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে পুরোনো ও বড় বাজারগুলোর একটি।